চ্যানেল ১১ নিউজ ২৪ ডেস্ক রিপোর্টঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা ” এক ইঞ্চি জমি যেনো অনাবাদি না পড়ে থাকে”
আর এই কথা টাকে ওতোপ্রোতো ভাবে কাজে লাগাচ্ছেন জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ৭ নং চরবানী পাকুড়িয়া ইউনিয়নের আটাবাড়ী গ্রামের হাছেন শেখের ছেলে কৃষক রাছেল মিয়া।
কৃষিকাজ করে অভাবমুক্ত সংসার ও ক্ষুধামুক্ত জীবন গড়ে আজ পুরোপুরি স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি।
দারিদ্র্যকে হার মানিয়ে স্বাবলম্বী রাছেল মিয়া জানান শুধুমাত্র ধান আবাদ করে জমি ফেলে রেখে যখন চলছিলো না সংসার, টানাপোড়েন থাকতো সবসময় তখন মাথায় পরিকল্পনা আসে জমি ফেলে রাখা চলবে না। শুরু করেন ধানের পাশাপাশি সব ধরনের সবজি চাষে।
মৌসুমি সবজি চাষ করার জন্য নেন পুরো প্রস্তুতি শুরু করেন চাষাবাদ।
বর্তমানে তিনি দুই একর জমিতে মরিচ,সরিষা, টমেটো, বেগুন, ভুট্টা, জব, ফুলকপি,কচু, বাটি শাক সহ বিভিন্ন প্রকার মৌসুমি সবজি চাষ করছেন।
বর্তমানে কৃষিকাজই তার একমাত্র আয়ের উৎস। নিজের সংসারের চাহিদা মিটিয়ে বাকি উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে তিনি যে টাকা আয় করেন তা দিয়ে ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে আজ তিনি সক্ষম।
আর তার এই কাজে একমাত্র সহযোগী হিসেবে পাশে রয়েছেন বাবা হাছেন শেখ।
কৃষি কাজের পূর্বে তার যে বসতঘরটি ছিল তা আজ দালান ঘরে রূপ নিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোন প্রকার প্রশিক্ষণ পেয়েছেন কিনা এ প্রশ্নে
রাসেল মিয়া জানান কোন প্রকার প্রশিক্ষণ পাই নাই সাথে সহযোগিতাও
আছে শুধু একটা কৃষি ভর্তুকি কার্ড।
নিজ উদ্যোগে, নিজের প্রচেষ্টায় এতটা পথ।
তবে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পেতে চান কৃষিবিষয়ক পরামর্শ ও সহযোগীতা।
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, সরকারের কৃষি বিপ্লবে আমরা বদ্ধপরিকর।
সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সব ধরেন সহযোগিতা দিয়ে থাকি।
সে অনুযায়ী সব ধরনের সুবিধা কৃষি অফিস দেবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন