চ্যানেল ১১ নিউজ২৪ ডেস্ক রিপোর্টঃ
রেলস্টেশন
যদি একটু খাটি বাংলায় বলি ইস্টিশন।
যেখানে মুখরিত থাকে সবসময় হাজারো মানুষের আনাগোনা।
কেউ আসে বাড়িতে, কেউবা যায় বাড়ি ছেড়ে আবার কতজন যায় বেড়াতে কতজন কর্মে।
আবার কেউবা আধপেটা খেয়েই পড়ে থাকেন প্ল্যাটফর্মে
এতসব মানুষের ভীড়ে কেউবা মনের ক্ষুধা মেটাতে আসেন মানুষের সান্নিধ্যে।
এমন একজন মানুষ মেলান্দহ উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের নাজিমউদ্দীন।
বয়সের ভারে অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছেন। ধীরে ধীরে হারাতে বসেছেন শরীরে চলার ক্ষমতা। স্ট্রেচারে ভর করে হেটেই ছুটে বেড়ান এখানে সেখানে।
দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জনক নাজিমুদ্দিন এর সময় কাটে এখন অনেকটাই নিঃসঙ্গতায়। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন সে কবেই আর ছেলেদের সংসারে এখন অনেকটাই উপেক্ষিত।
অথচ নাজিমউদ্দীনের ছিলো দুরন্ত শৈশব
বন্ধুদের সাথে হৈ-হুল্লোড় আর ছুটাছুটি করে কাটতো দিন।
পাড়ার নাটক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পালাগান বা বয়াতি গানে নাজিমউদ্দীনের বিচরন ছিলো।
আপাদমস্তক একজন গান পাগল মানুষ
কিন্তু নিজেকে মেলে ধরতে পারেন নি
তাই মাঝে মধ্যেই পেটে ক্ষুধা নিয়েই মনের ক্ষুধা মেটাতে চলে আসেন ইস্টিশনে।
একপ্রান্তে খোলা মাঠে বসে সুর তোলেন দুতরায়।
গেয়ে উঠেন আপন মনে ” থাকতে পার ঘাটাতে তুমি পারের নাইয়া, আমার দিন কি এমনি যাবে বইয়া “