চ্যানেল ১১ নিউজ (ডেস্ক রিপোর্ট)
জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের মধ্য টগারচর গ্রামের গৃহিনী সুরাইয়া বেগম (৫৫) হত্যার সাথে জড়িত মেয়ের জামাইকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪।
৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জামালপুর শহরের বেলটিয়ায় র্যাবের জামালপুর ক্যাম্পে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান কোম্পানি কমাণ্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে নিজেদের গোয়ালঘরে সুরাইয়া খাতুনের গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহত সুরাইয়া বেগমের স্বামী আজিজুল হক বাদী হয়ে একই দিন মেলান্দহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর র্যাব-১৪, সিপিসি-১ জামালপুর ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে র্যাবের জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমাণ্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামানের নেতৃত্বে র্যাবের একটি আভিযানিক দল ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঝাউগড়া ইউনিয়নের টুপকারচর এলাকা থেকে হত্যার সাড়ে জড়িত আসামি মেয়ের জামাই মোঃ আসাদ মিয়াকে (২৮) গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তার মো. আসাদ মিয়া টুপকারচর গ্রামের মো. রইজ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার মো. আসাদ মিয়া তার শাশুড়ি সুরাইয়া খাতুনকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। আসাদ মিয়া র্যাবকে জানায়, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী রোকিয়া খাতুনের সাথে তার পারিবারিক কলহ চলে আসছে। সেই কলহের জের ধরে ক্রোধের বশীভূত হয়ে শাশুড়ি সুরাইয়া খাতুনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করেছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের কোম্পানি কমাণ্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান আরো জানান, গ্রেপ্তার আসামি মোঃ আসাদ মিয়াকে মেলান্দহ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যম সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।।