এনামুল হাসান শাহিন (কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি)
ভালবাসা সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তা’য়ালার এক নিয়ামত। এ নিয়ামত না থাকলে আত্মীয়তার বন্ধন অটুট হতো না। বান্দার প্রতি আল্লাহর ভালবাসা, আল্লাহর প্রতি বান্দার ভালবাসা, রাসূল সাঃ এর প্রতি উম্মতের ভালবাসা, উম্মতের প্রতি রাসূল সাঃ এর ভালবাসা, সন্তানের প্রতি মাতা-পিতার ভালবাসা, মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের ভালবাসা এককথায় বলা যায়, আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ ব্যক্তিদের জায়েজ ভালবাসাই হলো প্রকৃত ভালবাসা।
‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ আমাদের জন্য না; আমরা মুসলিম! ভালোবাসা দিবসের নামে ইসলামবহির্ভূত নির্লজ্জ দিবস উদযাপন ইসলামে নিষেধ। বিবাহের আগে তরুণ-তরুণীর পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ, কথাবার্তা-মেলামেশা, প্রেম-ভালোবাসা ইসলাম ধর্মে সম্পূর্ণভাবে হারাম। কোরআন-হাদিসের দৃষ্টিতে ভালোবাসা কেবল বিয়ের পরেই।
লোকমুখে কথিত আছে, রোম সম্রাট ক্লডিয়াস ভ্যালেইন্টাইন নামে একজন সাধু, তরুণ প্রেমিকদের গোপন পরিণয়-মন্ত্রে দিক্ষা দিত। এ অপরাধে ভ্যালেন্টাইন নামের এক সাধূ-তরুণ প্রেমিকের শিরচ্ছেদ করেন। এখান থেকেই ভ্যালেন্টাইন প্রেমিরা উক্ত দিনটিকে ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা বিশ্ব ভালবাসা দিবস হিসাবে পালন করে আসে।
তবে মুসলিম জাতি এ বিজাতীয় সংস্কৃতি পালনের ফলে দুনিয়া ও আখেরাতের চরম তিক্ত স্বাদ এবং শাস্তি ভোগ করতে হবে। পরকালিন শাস্তির মধ্যে যা উল্লেখযোগ্য-নবী করীম সা. ইরশাদ করেন, ‘তুমি যাকে ভালবাস, তার সাথেই তোমার হাশর হবে’। অন্য বর্ণনায় আছে, নবী করীম সা. ইরশাদ করেন-‘যে যাকে ভালবাসে, সে পরকালে তার সাথেই থাকবে’। [সহিহ মুসলিম]
‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ এটি খ্রিস্টানদের উৎসব এটি আমাদের জন্য নয়, ইসলামে এর কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে। আল্লাহ্ আমাদের হেফাজত করুন! আমীন!