মোঃ রবিউল ইসলাম (নিজস্ব প্রতিবেদক)
প্রায় একযুগেরও বেশি সময় ধরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন,বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে করেন সাদামাটা জীবনযাপন।
নেই কোন বিলাসবহুল বাড়ী কিংবা গাড়ী, শুধু মানুষের ভালোবাসাই তার মুলধন,এই মূলধন কে পুঁজি করে একাধারে তিনবার হয়েছেন জনপ্রতিনিধি। ২০১১সালে প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপরে ২বার নৌকা প্রতিক পেয়ে জনতার চেয়ারম্যান হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
বলছিলাম জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার আওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেল্লাল হোসেন এর কথা।
বেল্লাল হোসেন ১৯৫৫ সালে সরিষাবাড়ি উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা মরহুম রিয়াজ উদ্দিন । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে জীবন বাজি রেখে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময়ে ১১নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধা হিসেবে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত হন।২০০১ সালে চারদলীয়জোট সরকারের সময় হামলা মামলার শিকার হয়ে জামালপুর সদর উপজেলার পিয়ারপুরে বসবাস করেন এবং গোপনে জামালপুরে এসে এলাকার নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে রাজনীতি চালিয়ে যেতে থাকেন। ২০০৫ সালে এসে আওনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়কের দায়িত্ব পান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বেল্লাল হোসেন বলেন,আদর্শহীন রাজনৈতিক কর্মী এ দলে থাকার কোন সুযোগ নেই। আমরা অনেকেই বলে থাকি যে আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী। কিন্ত তা কি আমরা মননে মানি বা জানি? অনেকেই মানেন না বা জানেন না। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা নিয়েই রাজনীতি করে যাচ্ছি এবং জাতির পিতার রেখে যাওয়া আদর্শগুলো মনে প্রাণে ধারন করে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই।
আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার জনবান্ধব কাজে
ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে নানান অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী সকল প্রকল্প সঠিক ব্যবহার করে যাচ্ছি। আমার পরিষদে সকল ভাতা কার্যক্রম বাচাই বাছাই করে সঠিক ভাতা ভোগীদের মাঝে বিতরণ করে যাচ্ছি। তারা অপপ্রচার করে আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। আমি কেমন ইউনিয়ন বাসী ভালো করে যানেন। তাদের অপপ্রচারে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
আওনা ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক সদস্য এবং একাধিক এলাকাবাসী জানান, বেল্লাল চেয়ারম্যান নিখাঁদ ভালো মানুষ, তার ভিতরে কোন অহংকার নেই নেই কোন দাম্ভিকতা। রাজনৈতিক গ্রুপের যে কেউ তাঁর নামে বদনাম করতেই পারে। কিন্তু তিনি তার নীতিতে অটল আছেন তাকে দিয়ে কোন অন্যায় করাতে পারবে না তারা । আগামীতেও বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ বেল্লাল হোসেন মানুষের ভালোবাসা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করবেন জনপ্রিয়তার শীর্ষেই থাকে যাবেন।
এক ইউপি সদস্য যানান, ইউনিয়নের কিছু স্বার্থেন্বেষী মহল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে দিয়ে কোন অন্যায় অনিয়ম করাতে না পেড়ে স্থানীয় কিছু সাংবাদিকদের মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন তথ্যদিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়ে তার দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে।