” ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন
জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন ”
এই প্রতিপাদ্য বিষয় সামনে রেখে খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়িতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস/২০২৩ইং উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ৮ই মার্চ বুধবার উপজেলার স্থায়ী টাউন হল প্রাঙ্গনে সকাল ১০.৩০ মিনিটে মহালছড়ি উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, উপজেলা প্রশাসন এবং লিন ( lean) প্রকল্পের সহযোগিতায় এ আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
১৯৭৫ সালে ৮ই মার্চ জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। দিবসটি সারা বিশ্বে নারীত্ব একটি মহান দিন। লিঙ্গ বৈষম্য দুর করার জন্য এই দিনটি পালিত হয়। শিল্প -সাহিত্য সব ধরনের কাজের ক্ষেত্রে এবং সমাজে সমস্ত কাজে মহিলাদের অবদান স্বীকৃতি দিতে এই দিনটি পালিত।
জেন্ডার বা লিঙ্গ বৈষম্য উন্নত ভবিষ্যত ও জীবন – যাপন গড়ে তোলার জন্য বড় চ্যালেন্জ। ইউএন উইম্যান,উইম্যান কাউন্ট এবং ইউএন ডেসা কতৃক প্রদত্ত ইউএন উইমেন্স জেন্ডার স্ন্যপশট ২০২২ রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে যে হারে অগ্রগতি হচ্ছে তাতে বৈষম্য মুলক আইন অপসারণ এবং নারী ও মেয়েদের আইনি সুরক্ষায় বিদ্যামান ব্যবধান দুর করতে আর ও ২৮৬ বছর সময় লাগতে পারে। প্রতিবেদনে আর ও বলা হয়েছে প্রতি ১১ মিনিটে ১ জন নারী বা মেয়েকে তার নিজের পরিবারের কেউ হত্যা করে। প্রতি ৪ জন নারী মধ্যে ১ জন গর্ভাবস্হায় সহিংসতা শিকার হন।
বিশ্বব্যাপি গত ১৫-৪৯ বছর বয়সী প্রতি ১০ জন নারী ও মেয়ের মধ্যে ১ জনেরও বেশি কাছের মানুষের দ্বারা যৌন বা শারীরিক সহিংসতা শিকার হয়েছিলেন। কোভিড মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতি ৪ জন নারী মধ্যে ১ জন ঘন ঘন পারিবারিক দ্বন্দ্বের কথা বর্ণনা করেছেন। ২০২১ সালে, ২০-২৪ বছর বয়সী প্রতি ৫ জন মহিলার মধ্যে প্রায় ১ জন ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই বিয়ে করেছিলেন। ২০৩০ সালে মধ্যে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হলে গত দশকের তুলনায় ১৭ গুন বেশি কাজ করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোবাইদা আক্তারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা উন্নয়ন মুলক নারীনেত্রী স্বপ্না চাকমার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব বিমল কান্তি চাকমা।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সুপন চাকমা ও বিভিন্ন এনজিওর সিনিয়র কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং বিভিন্ন এলাকার নারীকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনগুলো লিঙ্গ সমতা, প্রজনন স্বাস্থ্য এবং নারী ও কিশোর – কিশোরীদের অধিকার উন্নত করাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের একমাত্র লক্ষ্য।