এনামুল হাসান শাহিন (কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি)
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে গ্রাহকের ১৫ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়া আলমগীর ফিরলেন নিজগ্রামে
তার আগমনে গ্রাহকেরা প্রাণ ফিরে পেল। ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের সামনে অনেক লোকজনের সমাগম হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন- ১নং জিনারী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম (রহিদ). ৬নং ওয়ার্ডের দুইবারের সফল ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম আরও ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের শতশত গ্রাহক।
সকলের সম্মুখে অভিযুক্ত আলমগীর বলেনঃ আমি গত ১২ তারিখ রবিবার দিবাগত রাত হতে আপনাদের কাছ থেকে আড়ালে ছিলাম। আমি ইউপি চেয়ারম্যান (আজহারুল ইসলাম রহিদ) মহোদয়ের সাথে আমি ব্যক্তিগতভাবে শেয়ার করেছি, এটা একটু ভুল বোঝাবুঝির মাধ্যমেই হয়েছে।
আমার জন্ম কর্ম এই গ্রামেই, আমার সম্পর্কে সকলের জানা শোনা আছে, আমার ব্যাংকের যে ম্যানেজার ছিল সে ২/৩ টার সময় বলেছিল যে, টাকা পয়সার জন্য গ্রাহকেরা চাপ দিচ্ছে, ধরে নিয়ে যাবে বা মেরে ফেলবে এরকম নিউজ আমার কানে দিয়েছে।
তখন আমি মূলত মানসিক ভাবে ভয় কাজ করেছে আমার ভিতরে। এই বিষয়টা কারোর সঙ্গে পরামর্শ করব এই সময়টুকু বা কারো সঙ্গেই বুঝি নাই আমি। ব্যাক্তিগতভাবে কারো সাথে না বুঝে এলাকা থেকে সরে গিয়েছি। টাকা পয়সার জন্য মানুষ আমাকে মেরে ফেলবে, মেরে ফেললেও কি এই মুহূর্তে ১ ঘন্টা বা ২ ঘন্টার মধ্যে আমি টাকা দিতে পারব মানুষকে? আর তারা টাকা পাবে- এই ভাবে তো চাপ দেওয়ার কথা না! আসলে বিষয়টা কি ছিল আমি তো প্র্যাকটিকালি ছিলাম না। আমি চেয়ারম্যান মহোদয়কে জিজ্ঞেস করলাম- তিনি বললেন হাজিপুরে (ব্যাংক শাখা) এমন কোন আলাপ হয়নি আর বোর্ডের বাজারেও (ব্যাংক শাখা) এমন কোন আলাপ হয়নি। আমি মেম্বার (নজরুল ইসলাম) সাহেবকে জিজ্ঞেস করেছিলাম -যে এমন কোনো কথা হয়েছে কিনা? আমি কোনো গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করি নাই আগে।
আলমগীর জনসমষ্টির উদ্দেশ্যে আরও বলেনঃ আমাকে আপনাদের একটু সময় দিতে হবে। জায়গা সম্পত্তি আছে এগুলো বিক্রি করতে হবে। ছয় মাসে ভিতর থেকে আমি গ্রাহকের টাকা দেওয়া শুরু করব। কারণ একজন মানুষকে জায়গা বিক্রি করতে হলে তাকে সময় দিতে হয়। আমি যাতে আমার পিতৃগৃহে ফিরতে পারি।
পরে সকলের সম্মতিতে আলমগীরকে সময় দিতে রাজি হয় ভুক্তভোগী গ্রাহকগণ।