সুন্দরগঞ্জ! গাইবান্ধা জেলার মধ্যে ১৫ টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত একটি উপজেলা। বৃহৎ এ উপজেলায় মুজিব শতবর্ষের ঘরের সঠিক মানের রূপ দিয়ে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভূমিহীনদের জন্য এক অভাবনীয় স্বপ্নের বহিঃপ্রকাশ। দেশের ভূমিহীনরা পেয়েছেন তাঁদের মাথা গোঁজার ঠাঁই। বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি রোল মডেল করতে নিয়েছেন সেরা পদক্ষেপ।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪র্থ পর্যায়ের ৫০০ টি ঘরের নির্মাণকাজ প্রায় শেষের পথে। সেমি পাঁকা ঘর,বারান্দা,রান্না ঘর পেয়ে বেজায় খুশি, আশ্রয় ছিল না এমন ভূমিহীনেরা।
শ্রীপুর,কাপাসিয়া,রামজীবন,বামনডাঙ্গায় চলমান ৫০০ টি ঘরের কাজের মান যেন মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ইট,খোয়া,বালু,টিন,রড,সিমেন্ট, কাঠ এর গুণগত মান বুঝিয়ে দেয় কাজের স্থায়িত্ব কেমন হয়েছে।
উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের ঘরের কাজগুলো ছিল অনেক চ্যালেঞ্জের মতো। এখানে নদী পেরিয়ে দূর্গম চরে অসহায় ভূমিহীনদের কাছে তাদের কাঙ্ক্ষিত ঘর পৌঁছে দেওয়া ছিলো অনেক কষ্ট সাধ্য। দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে ঘরগুলোর বাস্তবায়ন যেন চমকে দেয়ার মতো।
ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জু মিয়া জানান, নদী বিধৌত আমার এ ইউনিয়ন। ২ হাজারের বেশি ভূমিহীন পরিবার আছে। পিআইও স্যারের সহযোগিতায় দূর্গম চরে ঘর দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আরও ঘরের প্রয়োজন আমার এ ইউনিয়নে। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পিআইও স্যারের সহযোগিতায় ঘরের কাজ খুবই ভালো হয়েছে।
ঘরের কাজের বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, বৃহৎ এ উপজেলায় মুজিব শতবর্ষের ঘরের নির্মাণকাজ ভালোভাবে করার চেষ্টা করছি৷ কারণ এই ঘর হলো অসহায় ভূমিহীনদের আশ্রয়স্থল। ভালো কাজের মধ্য দিয়েই তাদের মাঝে থাকতে চাই।
সচেতন মহল বলছেন, ওয়ালিফ মন্ডল তার কর্মগুণেই আজ প্রশংসায় বিমোহিত। আশ্রয়ণ প্রকল্পের সঠিক কাজের বাস্তবায়িত রুপ বলে দেয় তিনি কেমন!