মাহমুদুল হাসান মুক্তা (জামালপুর)
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়কের নেতৃত্বে ২৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, কনফেকশনারির দোকানঘরের মালামাল ভাংচুরসহ হত্যার হুমকির ঘটনা ঘটেছে।
গত ৪ মে আনুমানিক রাত ১০টার দিকে মেলান্দহ উপজেলার জিন্নাহ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসানের কনফেকশনারির দোকানে এ চাঁদা দাবি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার আদিপৈত গ্রামের মো. আনছারুল আলমের ছেলে ঠিকাদার মাহমুদুল হাসান (৩৭) এর মেলান্দহ বাজারস্থ জিন্নাহ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় কনফেকশনারির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত ৪ মে রাতে একই উপজেলার মলিকাডাংগা গ্রামের মো. তালেব ডিলারের ছেলে উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহবায়ক মো. আক্তারুজ্জামান ওরফে আক্তারের নেতৃত্বে মোঃ তাপস, মোঃ বাবুল, মোঃ জুয়েল, মোঃ নাজমুলসহ আরও ৪/৫ জন গিয়ে ২৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
ঠিকাদার মাহমুদুল হাসান ব্যবসায়ী কাজে চট্টগ্রাম থাকায় কনফেকশনারিতে থাকা কর্মচারী ফরহাদ হোসেন উজ্জল, রাকিবুল ইসলাম রাজন ও শ্রী অমর কুমার সাহা দোকানঘর দেখাশেনা করে। এসময় যুবদল নেতা আক্তারুজ্জামান ওরফে আক্তারের নেতৃত্বে চাঁদা দাবি করলে তারা চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। এছাড়া কনফেকশনারিতে থাকা কম্পিউটার, স্ক্যানার মেশিনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভাংচুর করে। এতে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ক্ষতি সাধিত হয়। পরে তারা চলে যাওয়ার সময় ২৮ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে গুলি করে হত্যারা হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান বলেন, যুবদল নেতা আক্তার আমাকে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। তিনি আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমৃলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, কনফেকশনারির দোকান ভাংচুর, চাঁদা দাবির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামীদের দ্রুত সময়ে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।