রাফি চৌধুরী (সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি)
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বড় কুমিরায় নিউ রাজাপুর গ্রামের কুতুব উদ্দিন (৬২) একমাত্র পুত্র স্বাধীনকে হারিয়ে ৪ দিনের ব্যবধানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থেকে তিনিও না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
গত ১৩ মে,২০২৩ শনিবার রাত ১২ টায় একমাত্র পুত্র ফারদিন আরাফাত স্বাধীন( ২০) কে সমাহিত করা হয়। শেষ যাত্রায় বাবা কুতুবউদ্দিন ছেলেকে দেখতে পারেননি ছিলেন ঢাকা মেডিকেল বার্ণ ইউনিটের আইসিইউতে। গত কাল মধ্যরাতে তিনিও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বাবা-ছেলে কেউ কাউকে শেষ বিদায় দিতে পারলো না। এমন ঘটনায় এলাকায় শোকের মাতম বইছে। নিহতের স্ত্রীর তিন কন্যাই বিবাহিত। স্বামী আর একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েছেন তিনি।
পুত্র স্বাধীনের একটি জাহাজে চাকুরী ঠিক হয়েছিল,তাই বরিশালে ক্যাপ্টেন বাবা কুতুবউদ্দিনের সাথে দেখা করতে গিয়েছিল,তার বাবা তখন কীর্তনখোলা নদীতে জাহাজে কর্মরত, ১১ মে বৃহঃস্পতিবার বিকালে জাহাজে বাবার সাথে সময় দিচ্ছিল, হঠাৎ তাদের জ্বালানী তেলবাহী জাহাজটির ট্যাংকারে অগ্নিসংযোগে দুর্ঘটনায় কবলিত হলে ছেলে স্বাধীন ও তার বাবা কুতুবউদ্দিন গুরুতর আহত হয়,আহত অবস্থায় তাদের কে বরিশাল পরে ঢাকা বার্ণ হাসপাতালে প্রেরন করলে সেখানে স্বাধীনের মৃত্যু হয় এবং বাবা কুতুবউদ্দিন কে আইসিও তে ভর্তি করে। চারদিন আইসিও তে থাকার পর গতকাল মধ্যরাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষনা করে।
পিতা-পুত্রের হাস্যোজ্জ্বল এই ছবিটি এখন কেবলই স্মৃতি! কুতুবউদ্দিনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর আজ সোমবার রাতে সীতাকুণ্ডের বাড়ীতে এসে পৌঁছতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।