নুর হোসেন (চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি)
মিরসরাইয়ে ভূল রক্ত পুষ করায় বিপদগামী গৃহবধূ সোনিয়া আক্তার (২২)’কে রক্ত দিলেন মিরসরাই টোয়েন্টিফোর টিভি’র প্রতিনিধি মোহাম্মদ আকতার হোসেন।
মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের High Dependancy unit (এইচডিইউ)’তে চিকিৎসাধীন ঐ প্রসূতি রোগীর জরুরী ভিত্তিতে ব্লাড দরকার হওয়ায় ছুটে আসেন এই রিপোর্টার। এটা তার ১৪ তম রক্তদান।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুর বারোটা দিকে প্রসব বেদনা নিয়ে বারইয়ারহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয় হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামের মোমিন সওদাগরের পুত্র খালেদ মাসুদের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (২২) রাত সাড়ে নয়টার দিকে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে কন্যা সন্তান ভূমিষ্ট হয়। ঐসময় রোগীর হিমোগ্লোবিন ৭.৮ হওয়ার কারণে জরুরী ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন হয়।
এমতাবস্থায় শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বারইয়ারহাট নাইটেঙ্গেল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় সার্টিফিকেট “এ” পজিটিভ এর উপর ভিত্তি করে ডোনার রেডি করে রক্ত সংগ্রহ করা হয় এবং সেই রক্ত রোগীর শরীরে পুষ করা হয়। তারপর থেকে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে পুনরায় জেনারেল হাসপাতালে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে নিশ্চিত হয় রক্তের গ্রুপ “ও” পজিটিভ। তখন জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলে পজিটিভ গ্রুপ রক্ত কোন সমস্যা নেই। কিন্তু রোগীর অবস্থা ক্রমশ অবনতি ঘটতে থাকলে অপেক্ষা করতে বলে এবং এভাবেই একদিন চলে যায়। শনিবার (১৩ মে) বেলা দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে বারইয়ারহাট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করার পরামর্শ দিলে চট্টগ্রাম মা-ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ভর্তি করার পর সেখানে রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটা দিকে মা-ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের Intensive Care Unit (ICU)’র ৬ নং বেডে চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার (১৪ মে) রাত নয়টার দিকে High Dependancy Unit (HDU) তে (লাইফ সাপোর্টে) স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানে ৭ নং বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
ডেলিভারি সিজার অপারেশন রোগী সোনিয়া আক্তার’কে বিপরীত গ্রুপের রক্ত পুষ করার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) ভাইরাল হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ঐ প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রতি ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।