মোঃ হাফিজুর রহমান (নিজস্ব প্রতিবেদক)
জামালপুরের মেলান্দহ পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ডে জালালপুর গ্রামে গভীর রাতে কালবৈশাগী ঝড়ে উঠতি ভূট্টা ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।অধিকাংশ ক্ষেতের ভূট্টা ঝড়ে হেলে পড়েছে। এতে কৃষকরা ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন।
মেলান্দহ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে জালালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ মোল্লা বলেন – এ বছরে জানুয়ারী মাসে নিজ উদ্যোগে দুই বিঘা জমিতে ভূট্টার আবাদ করি। এপর্যন্ত তার প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সকল পরিচর্যা শেষে যখন ফসল ঘরে উঠবে ঠিক এমন সময় ঝড়ে তার ক্ষেতের ৮০% ভূট্টা গাছ মাটিতে হেলে পড়েছে। হেলে পড়া ভূট্টা গাছে দানা পুষ্ট হয় না। এতে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
গত -১৬ মে উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্যাপক শিলাবৃষ্টিতে ভুট্টা ও কলা বাগান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভুট্টার গাছ, কলা বাগান ভেঙে মাটিতে শুয়ে পড়েছে। অপরিপক্ক ভুট্টা পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হওয়া ভুট্টার ক্ষেত থেকে জ্বালানি ছাড়া আর কিছু পাওয়ার আশা নেই। শিলাবৃষ্টির কারণে প্রতি বিঘা জমিতে ৩০-৩৫ হাজার টাকার ভুট্টা নষ্ট হয়েছে। ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় প্রান্তিক ভুট্টা ও কলা চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক কৃষকরা সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষিবিদ কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন- ভূট্টা ও কলা বাগান লাভজনক ফসল। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কৃষকরা ভালো ফলনের আশা করছিলেন। ঝড়-বৃষ্টিতে কিছু কিছু খেতের ভূট্টা ও কলা গাছ হেলে পড়েছে।ক্ষতির পরিমাপ জরিপ করতে আমাদের কৃষি উপসহকারী কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। যেসব কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে তালিকা করে সরকারকে জানানো হবে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিষয়ে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেবে না আর্থিক প্রণোদনা দেবে তা সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। এরপর আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে পারবো।