নুরুল ইসলাম (নওগাঁ প্রতিনিধি)
নওগাঁয় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে জীবন দিলেন সাময়িক বরখাস্তকৃত শিক্ষক হারুনুর রশিদ (৫০)। তিনি নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আল আমিন দাখিল মাদ্রাসার শরীর চর্চা বিষয়ক শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সম্প্রতি বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে মাদ্রাসা সুপার তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেন। হারুনুর রশিদ রাণীনগর উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের আজাহার আলী শেখের ছেলে।
বৃহস্পতিবার সকালে সান্তাহার রেলওয়ে থানাধীন ছাতিয়ান গ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণে কলাবাড়িয়া নামক স্থানে চিলাহাটি হতে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী নতুন ডাউন চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে জীবন দেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ মে তারিখে তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি সহ বিভিন্ন অনিয়ম এর অভিযোগ তুলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রতিষ্ঠান প্রধান। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর থেকেই তিনি তা মেনেনিতে না পেরে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন।
বৃহস্পতিবার সকালে তিনি কোলাবাড়িয়া নামক স্থানে একটি চা-স্টলে পানি খাচ্ছিলেন। পানি খাওয়ার মহূর্তে ট্রেন আসতে দেখে তিনি হাতে থাকা পানির গ্লাস নিয়েই চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রেনে কাটা পড়ে তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। সাময়িক বরখাস্ত করার অভিমান ও হতাশাগ্রস্থ হয়ে তিনি ট্রেনের নিচে ঝাঁপদিয়ে (আত্মহত্যা) জীবন দিয়েছেন এমন ধারণা করছেন স্থানিয়রা।
ট্রেনে কাটাপড়ে শিক্ষক এর মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মোক্তার হোসেন বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পৌছে নিহত শিক্ষক এর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো করা হয়েছে। তবে ঐ শিক্ষক কি কারনে ট্রেনের নিচে ঝাপদিয়ে জীবন দিলেন সে বিষয়ে কোন তথ্য তিনি জানাতে পারেন নি।
এব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে।
অপরদিকে একজন শিক্ষক কেন ট্রেনের নিচে ঝাপ দেওয়ার এমন আত্নঘাতি সিদ্ধান্ত নিলেন.?, এমন নানা প্রশ্ন বা আলোচনা-সমালোচনা চলছে মানুষের মাঝে!!