চ্যানেল ১১ নিউজ (অনলাইন ডেস্ক)
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার হাজরাবাড়ী পৌর এলাকায় স্ত্রীর অধিকার পেতে ২৭ বছর বয়সী এক নারী যুবলীগ নেতার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশনে বসেছেন।
সোমবার দুপুর থেকেই উপজেলার হাজরাবাড়ী পৌর এলাকার হাজরাবাড়ী বাজার এলাকায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ময়েন হাজারীর ছেলে মুজিবুল হাসান শামীম হাজারীর (৩৮) বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে। মুজিবুল হাসান শামীম হাজারী হাজরাবাড়ী পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি।
অনশনে বসা ওই নারী হাজরাবাড়ী পৌর এলাকার ঢালুয়াবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।
অনশনে বসা ওই নারী বলেন, প্রায় এক বছর আগে শামীম হাজারীর সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে মসজিদের ইমামের মাধ্যমে বিয়ে করে। বিয়ের পর জামালপুর পৌরসভার নতুন হাইস্কুল মোড়ে একটি ভাড়া বাসায় দীর্ঘদিন থাকি। আমার এর আগে বিয়ে হয়েছিল। তার কথায় আমি সেই স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে আসি। মাঝেমধ্যে শামীম হাজারী এসে আমার ভাড়া বাসায় থাকত। একপর্যায়ে আমি কাবিন করার জন্য তাকে চাপ দিলে সে আমার সাথে গত এক মাস যাবত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তাকে না পেয়ে শামীম হাজারীর বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি তার ঘর তালাবদ্ধ। আমার আসার খবর পেয়ে তারা সবাই পালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি সোমবার দুপুর ১২টার দিকে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে তাদের বাসায় এলে তার চাচাতো বোন হ্যাপি ও সেতু গিয়ে আমাকে তিনতলা থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে দেয়। একপর্যায়ে আমাকে মারধরও করে। শামীম হাজারী যদি এখন আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দেয়, তাহলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া কোন পথ থাকবে না।
এ বিষয়ে মুজিবুল হাসান শামীম হাজারী বলেন, এই মেয়ের আগে দুইটা বিয়ে হয়েছে। তার চাচাতো ভাই রানা আমার মার্কেটে একটি দোকান ভাড়া চেয়েছিল। দোকান ভাড়া না দেওয়ায় সে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটা করছে। আমাকে রাজনৈতিক হেয় করার জন্য এটা করছে।
হাজরাবাড়ী পৌর যুবলীগের সভাপতি রোহান শাহ রেজা বলেন, আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। যদি সে নারী কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থাকে, তাহলে জেলা ও উপজেলা যুবলীগের সাথে কথা বলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংগঠন তার দায়ভার নেবে না।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন বাঘা বলেন, যদি কেউ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের মত কোন অপরাধ করে থাকে- তা যদি প্রমাণিত হয়, দল অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।