রাহিন হোসেন রায়হান (বকশিগঞ্জ প্রতিনিধি)
সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম বরাবরই স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন সৎ এবং সাহসী কলম যোদ্ধা।
কিছুদিন পূর্বে সাধুর পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেয়, তার ওপর কয়েকটা প্রতিবেদন করেন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম, এই প্রতিবেদনের কারণে চেয়ারম্যানের রোষানলে পড়েন তিনি এরই ধারাবাহিকতায় এই নির্মম হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়।
জামালপুরের বকশীগঞ্জে এনএম হাইস্কুল মাঠে ১৬জুন শুক্রবার সকাল ১০টায় ৭১টিভির সাংবাদিক নাদিমের মরদেহের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।পরে সকাল ১১টায় তার নিজ গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজের উপস্থিত সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম এর হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে ফুঁসে ওঠে জেলা উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
পরে পারিবারিক কবরস্থানে এই সাহসী নির্ভীক কলম সৈনিক কে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়। গত ১৪ জুন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম তার পেশাগত কাজ শেষ করে একই সাথে সাংবাদিক আল মুজাহিদ বাবু সহ মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে পথিমধ্যে ওত পেতে থাকা সাধুর পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু ও তার ছেলে একদল সম্মিলিত সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটি মোড়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সামনে সাংবাদিক আল মুজাহিদ বাবুর সামনে থেকে মারতে মারতে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে অন্ধকারে সংবদ্ধভাবে ইট দিয়ে তার মাথায় এবং শরীরে আঘাত করে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়, ঘটনার একপর্যায়ে সাংবাদিক আল মুজাহিদ বাবু তাদের ধরতে গেলে তাকেও প্রাণনাশের হুমকি দেয় সন্ত্রাসী বাহিনী।
পরে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে বকসিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি দেখে ঐ দিনই রোগীকে জামালপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সকালে জামালপুর সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন, রোগীকে দ্রুত ভর্তি করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২:৪৫ মিনিটে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন । ঘটনার সাথে জড়িত ০৬ জন কে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ প্রশাসন বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য মাঠে পুলিশের পাঁচটি ইউনিটের কাজ চলমান রয়েছে।