মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (মাদারগঞ্জ প্রতিনিধি)
জামালপুরের মাদারগঞ্জে ধর্ষণের শিকার এক ভুক্তভোগী নারীকে মিমাংসার কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর এক মাতাব্বরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত রবিবার ( ১৮জুন) দুপুরে জামালপুর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে সকাল ৯ টায় উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের বাজিতেরপাড়া বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
শনিবার (১৭ জুন) মধ্যরাতে ওই ভুক্তোভোগী নারী বাদি হয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। যার মামলা নং ৯(৩)। এ ঘটনায় অপর আসামী প্রধান আসামী মাতাব্বরের চাচাতো ভাই সেলিম মন্ডল পলাতক রয়েছে। মামলার প্রধান আসামী মাতাব্বর আসলাম মন্ডল( ৫৫) উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের বাজিতেরপাড়া গ্রামের মৃত আতাহার মন্ডলের ছেলে। মামলার দ্বিতীয় আসামী তারই চাচাতো ভাই সেলিম মন্ডল। তিনি একই গ্রামের মৃত আছাদুল মন্ডলের ছেলে।
এছাড়াও অজ্ঞাত আরো একজনকে আসামী করা হয়েছে। মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়,ভুক্তভোগী নারী একজন চা- পানের দোকানী। মামলার ২ নম্বর আসামী সেলিম মন্ডল ১৫ জুন দুপুরে ওই নারীকে চা দিতে বলেন। ভুক্তভোগী নারী চা দিতে গেলে গোডাউনে তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে মামলার প্রধান আসামী মাতাব্বর অভিযুক্ত চাচাতো ভাইকে বাঁচাতে মিমাংসার জন্য শনিবার (১৭জুন) সকালে গিয়ে তাকে মিমাংসার জন্য ডেকে নিয়ে সে নিজেও ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে ভুক্তভোগী নারী ওই দিন রাতেই বাদী হয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় একটি গণধর্ষনের মামলা দায়ের করেন।
মামলার ৯ ঘন্টার মধ্যেই তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) ফিরোজ উদ্দিনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ বিশেষ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী আসলামকে গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক ফিরোজ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন,প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। ধর্ষণের শিকার নারীর মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান আসামীকে বাজিতের পাড়া বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।