মাইদুল ইসলাম (গাইবান্ধা প্রতিনিধি)
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর দ্বি-মুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দ ৩ মাস যাবত বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাবন করছেন।
সোনালী ব্যাংক গোবিন্দগঞ্জ শাখার ম্যানেজার প্রতিহিংসা মূলকভাবে হরিরামপুর দ্বি-মুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষক/কর্মচারীদের বেতন ভাতা বিল ৩ মাস যাবৎ বন্ধ করে রাখার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গোবিন্দগঞ্জ হরিরামপুর দ্বি-মুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বৃন্দ।
গতকাল ২৩ জুন বিকেলে গাইবান্ধা জেলা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন’ প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোছা: চামেলি বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক/কর্মচারীবৃন্দ অভিযোগ করেন যে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সোনালী ব্যাংক লিমিটেড শাখার ম্যানেজার রিপন কুমার চক্রবর্তী হরিরামপুর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অনুমোদিত ম্যানেজিং কমিটির স্বাক্ষরিত শিক্ষক/কর্মচারীদের বেতন ভাতা গত ৩ মাস যাবত ছাড়করণে টালবাহানা ও অনিহা প্রকাশ করেন। বেতন ভাতা ছাড় করণ না করে তিনি ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করেন।
এমতাবস্থায় শিক্ষক/শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দ মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে ভুক্তভোগীরা হতাশা প্রকাশ করেন। লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগীরা দ্রুত বেতন ভাতা ছাড় করণ করতে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড গোবিন্দগঞ্জ শাখার ম্যানেজারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। যদি শিক্ষক/কর্মচারীদের বেতন ভাতা ছাড় করণ করতে আরও বিলম্ব করেন তাহলে তারা আরও দৈন্যদশায় পরতে পারেন বলে আশংকা প্রকাশ করেন। ভুক্তভোগীরা নিজ নিজ অ্যাকাউন্ট নাম্বারে দ্রুত বিল বেতন ছাড় করণের জোর দাবী জানান তারা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বাচ্চা মিয়া সরকার, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, সহকারি শিক্ষক নিজাম উদ্দিন মন্ডল, সহকারি শিক্ষক শ্রী খোকন চন্দ্র সরকার, সহকারি শিক্ষক নুরে আলম সরকার, নৈশ প্রহরী উত্তম কুমার সরকার প্রমুখ।
এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড গোবিন্দগঞ্জ শাখার ম্যানেজার রিপন কুমার চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার অপারগতা প্রকাশ করেন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কেন সোনালী ব্যাংক লিমিটেড গোবিন্দগঞ্জ শাখার ম্যানেজার বেতন ভাতা ছাড় করণে না করে কেন অনিহা প্রকাশ করছেন তা তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে এবং কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি যুক্ত থাকলে তা আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।