মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীবরদীতে উদ্বোধন হলো ব্যারিষ্টার কাপ শর্টপিচ নাইট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট- সিজন ২ মাদারগঞ্জে ৭ দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলা উদ্বোধন করলেন ডিআইজি ড.আশরাফুর রহমান  গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর বিজয় র‌্যালী গোপালপুরে নানা আয়োজনে বিজয় দিবস পালন  টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন জামালপুর শফিকুল সভাপতি, শান্ত সাধারণ সম্পাদক জামালপুর জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল বৃদ্ধি বিষয়ে কর্মশালা ও গণ নাটক অনুষ্ঠিত  মাদারগঞ্জে নাশকতা মামলায় যুবলীগ নেতাসহ অন্যান্য মামলায় ৪ জন আটক  শ্রীবরদী ছাত্রদলের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন কালিয়াকৈর এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন এর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন কালিয়াকৈরে বেগম রোকেয়া দিবস পালিত

এখনো যে স্থানে থমকে দাঁড়ায় পথিক

Coder Boss
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩
  • ৪৮ Time View
ছবিঃ চ্যানেল ১১ নিউজ

নুর হোসেন- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

আজ ১১ জুলাই। শোকাবহ মিরসরাই ট্র্যাজেডির এক যুগ আজ। ক্যালেন্ডারের পাতার সব দিবস ভোলা গেলেও মিরসরাইয়ের ১১ জুলাই ট্র্যাজেডি মনে দাগ কেটে থাকার মতো। সন্তানদের জন্মদিন অনেকে ব্যস্ততায় ভুলে যায়, কিন্তু ভুলতে পারে না মৃত্যুর দিন। আর ওই মৃত্যু যদি ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়, তা আরো বেদনাদায়ক। এখনো যাওয়া আসার পথে দুর্ঘটনাস্থানে থমকে দাঁড়ায় পথিক।

আজ থেকে ১২ বছর আগে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নেয় এক অভিভাবক ও ফুটবলপ্রেমীসহ ৪৫ শিক্ষার্থীর। ২০১১ সালের ১১ জুলাই চট্টগ্রামের মিরসরাই স্টেডিয়াম থেকে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলা শেষে একটি ট্রাকে করে আবুতোরাবে ফিরছিল তারা। পথে সৈদালীতে শিক্ষার্থীদের বহনকারী মিনি ট্রাকটি উল্টে ডোবায় পড়ে যায়। এতে একে একে মৃত্যু হয় ৪৫ জনের।

ওই দিনের দুঃসহ স্মৃতি এখনো বয়ে বেড়ায় তাদের সহপাঠী ও স্বজনরা। মিরসরাই ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণে আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে স্থাপন করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’ এবং দুর্ঘটনাস্থলে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ ‘অন্তিম’।

মিরসরাই ট্র্যাজেডি এক বিভীষিকার গল্পের নাম। একে একে ৪৫টি জীবনের কঠিন নিয়তির গল্প। ৪৫টি পরিবারের সারাজীবনের অশ্রুপাতের গল্প। চালকের সামান্য ভুলে এতগুলো খেলাপাগল শিশু-কিশোর নিয়ে মিনি ট্রাকটি সোজা গিয়ে উল্টে পড়ে পাশের ডোবায়। মুহূর্তেই হইচই পড়ে যায় ঘটনাস্থলে। আশপাশের সবাই ছুটে এলো ঠিকই, কিন্তু বাঁচানো গেল না মিনি ট্রাকের তলানিতে আটকে পড়া কোনো খুদে ছাত্রকে। একে একে নিষ্প্রাণ হলো ৪৫টি তাজা জীবন।

ওই সময় নিহতদের স্বজনদের সমবেদনা জানাতে ছুটে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরু দোজা চৌধুরী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতারাসহ দেশের বিশিষ্টজনরা।

এখনো যাওয়া-আসার পথে দুর্ঘটনাস্থলে থমকে দাঁড়ায় পথিক। প্রতিবছরের মতো এবারো নিহতদের স্মরণে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আবুতোরাব বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি।

ভয়াল মিরসরাই ট্রাজেডিতে নিহত হওয়া অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র আমিন শরীফের বাবা শাহজাহান বলেন, ‘আমার ছেলে যখন মারা যায়, আমি তখন বিদেশে ছিলাম। শেষ সময়ে ছেলেটাকে আমি দেখিনি। এর চেয়ে কষ্টের আমার কাছে আর কিছুই নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার ছেলেসহ ৪৫ জন যেখানে নিহত হয়েছে সেখানে পরে অন্তিম নামের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। যখনই ইকোনোমিক জোনের রোড দিয়ে যাতায়াত করি, ওই অন্তিমটা নজরে পড়ে। কষ্টে তখন বুকটা ফেটে যেতে চায়।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102