ছবিঃ চ্যানেল ১১ নিউজ
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (মাদারগঞ্জ)
জামালপুরের মাদারগঞ্জে সাবেক ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলাম (৫২) হত্যাকান্ডের পরদিন ভোরে গরু-ছাগল লুটের অভিযোগ উঠেছে।
হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে ঐ রাতেই আটক করা হয় ৭ জনকে। তার মধ্যে ১জন জাহাঙ্গীর আলম গেদা ফজরের সময় আটকের পর পরই ১৫/২০ জনের একটি দল অস্ত্র হাতে নিয়ে বাড়ীর গোয়াল ঘরের গেট ও ঘরের তালা ভেঙ্গে আমাদের কয়েকজনকে আহত করে ১৮ টি গরু ও ৬ টি ছাগল লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ছুটাছুটি করে ৩ টি গরু বাড়ীতে চলে আসে।
এ হত্যাকান্ডের সাথে আমরা জড়িত নয় বলে জানান আটককৃত জাহাঙ্গীর আলম গেদা’র ছেলে কাজী রঞ্জু । এ ব্যাপারে নিহতের ভাই সাখাওয়াত হোসেন জানান আমার ভাই জহুরুল মেম্বার খুন হওয়ার দুটি কারণ বিগত জোড়া খুনের জের ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। আমরা জেনেছি আসামী গেদার বাড়ী থেকে ১৮ গরু ও ৬ টি ছাগল লুট হয়েছে। তার মধ্যে ৩ টি গরু তারা পেয়েছে।
এঘটনা কে বা কাহারা ঘটিয়েছে তা জানিনা তবে আসামীদের বাড়ী থেকে আর যেন লুটপাট না হয় সে জন্য আমরা নিজেরাই পাহারা দিচ্ছি। স্থানীয় জোড়খালী ইউপি চেয়ারম্যান সুজা মিঞা জানান আসামী’র বাড়ী থেকে গরু ও ছাগল লুট হয়েছে এটা আমাকে অবগত করেছে, অনেকেই বলাবলি করেছে তাদের মাধ্যমেও শুনেছি এবং সবাই জানে। উল্লেখ্য যে, গত ২২ শে জুলাই রাত আনুমানিক ১২ টায় ফুলজোড় এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বর্তমান ইউপি সদস্য উজ্জল মেম্বারসহ ৮ জন কে সন্দেহজনক আটক করেছে পুলিশ।