ছবিঃ চ্যানেল ১১ নিউজ
হাফিজুর রহমান (নিজস্ব প্রতিবেদক)
বর্ষাকাল প্রায় শেষের পথে। জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে ক্রমেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমছে। মাঝে মধ্যে আকাশটা কালো মেঘে ঢেকে গেলেও ভরা বর্ষা মৌসুমেও মুষলধারে কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। আবার বৃষ্টি হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অনেক কম। ফলে খাল-বিলে পানি না থাকায় পাট চাষিরা পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। মাঠ থেকে পাট কেটে অতিরিক্ত পরিবহন খরচ দিয়ে এসব পাট নদীতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জাগ দেয়ার জন্য। ফলে পাটচাষিদের বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত খাল-বিলে পানি জমতে শুরু করেনি। পাট পরিপক্ব হয়েছে। পানির অভাবে নিরুপায় হয়ে কিছু সংখ্যক কৃষক ডোবা-নালা ও পাটের কিছু জমিতে গর্ত করে শ্যালো মেশিনে পানি দিয়ে পাট জাগ দিতে শুরু করেছে। ফলে বাড়তি খরচ হওয়ায় লাভের তুলনায় ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা।
এরই মধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন পাট। দামও বেশ ভালো। এ অঞ্চলের খাল-বিলে পর্যাপ্ত পানি নেই। প্রকৃতির এমন বিরূপ আচরণে এ অঞ্চলের পাট চাষিদের এখন কপালে চিন্তার ভাঁজ। তবে কৃষকরা বলছে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে সমস্যা কেটে যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন – এবার মেলান্দহ উপজেলায় ১১ টি ইউনিয়ন ২ টি পৌর সভায় প্রায় ১৭০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী আষাঢ় শ্রাবণ মাসে এসব পাট কেটে পানিতে জাগ দেয়া হয়।
দীর্ঘদিন থেকে অনাবৃষ্টি, উজান থেকে নেমে আসছেনা পানির ঢল। এ জন্য নদীর পানিও পড়ে রয়েছে নদীর তলায়। যে সময় থাকার কথা নদীতে উত্তাল তরঙ্গমালা। নদীর পানি প্রবাহিত হয়ে প্রবেশ করবে খাল-বিলে। আর থৈ থৈ করবে মাঠের পর মাঠ। সে সময় নদীর পানি নদীর তলায় ও খাল-বিল পানি শূন্য। ফলে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।
উপজেলার মেলান্দহ পৌর সভা ৬ নং ওয়ার্ডে ফুলছেন্না গ্রামের মোঃ মোস্তফা ফারাজী বলেন, এবারে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে আমরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি। পানি না থাকায় এ পাট আমাদের জন্য একটি বোঝা হয়ে পড়েছে।