ছবিঃ চ্যানেল ১১ নিউজ
রিপোর্টঃ রুহুল আমিন
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়তে ইসলামী বাংলাদেশ নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী জীবন ঘন্টার ইতি টেনে চিরো বিদায় নিলেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)।
সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালটির কার্ডিওলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জামান সাইদীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এর আগে গতকাল রোববার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হৃদ্ররোগে আক্রান্ত হলে রোববারই তাকে শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয় । কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর জ্যেষ্ঠ জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এ দিন দুপুরে সাঈদীর বুকে ব্যথা শুরু হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রফিকুল ইসলাম জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বুকে ব্যথাজনিত সমস্যার কারণে সাঈদীকে হাসপাতালে আনা হয়। তার বুকে ব্যথা, হার্টে সমস্যা, প্রেসার ও ডায়াবেটিসজনিত কিছু সমস্যা ছিল। ইসিজিসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তাকে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বিএসএমএমইউতে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে কাশিমপুর কারাগারে আছেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এর আগে ২০১০ সালের ২৯ জুন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এ জামায়াত নেতাকে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন, ধর্মান্তর করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের আটটি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে প্রমাণিত হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন।