ছবিঃ চ্যানেল ১১ নিউজ
বেলাল হোসেন শান্ত, জামালপুর
জামালপুর-শেরপুর ব্রিজের টোল আদায় ঘরে দিনেদুপুরে হামলা করে স্থানীয় দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে নগদ দুই লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় দুর্বৃত্তদের মারধরে টোল ঘরের চার কর্মচারী আহত হয়েছেন। আহত তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর একজনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দুর্বৃত্তরা ওই টোল ঘরে হামলা চালায়।
আহত কর্মচারীরা হলেন, শেরপুর জেলার চর পক্ষীমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে আবু সাঈদ (২২), একই গ্রামের মো. আব্দুল হালিমের ছেলে মো. জনি মিয়া (১৮), মো. নজরুল ইসলামের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (২৮) ও দিকপাড়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২৫)। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আবু সাইদকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্রিজের আংশিক ইজারাদার মো. সাইদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা নিয়ে টোল ঘরে হামলা চালায়। এদের মধ্যে চর পক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে মো. মুক্তা, একই গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মো. কালু, সিরাজের ছেলে মো. আলিম ও সোহাগ মিয়া, মজিবরের ছেলে মো. হানিফ, হরদের ছেলে মো. সানু, মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে শাহ আলম ও হাকিমের ছেলে মো. সোলাইকে সিসিটিভির ফুটেজে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা টোল ঘরে ভাংচুর চালিয়ে ও কর্মচারীদের এলোপাতাড়ি মারধর করে টোলের টাকা রাখার বাক্স ও টেবিলে থাকা টাকাপয়সা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। আনুমানিক দুই লাখ টাকা নিয়ে যাবার সময় প্রাণনাশের হুমকিও দেয় তারা। এতে আমি ও আমার টোল ঘরের কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল জানান, ব্রিজ পার হবার সময় কর্মচারীরা টোল আদায়ের জন্য একটা অটোগাড়িকে থামায়। ভাংতি না থাকার কারণে অটোগাড়ির মালিক ৫শ টাকার নোট দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। অটোগাড়ির মালিকের বাড়ি ব্রিজের কাছেই। পরে অটোগাড়ির মালিক তার লোকজন নিয়ে টোল ঘরে আসেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।