ছবিঃ চ্যানেল ১১ নিউজ
মাইদুল ইসলাম, গাইবান্ধা
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষকের উৎপাদন দেশ ও জাতির চালিকাশক্তি। আর সেই আবাদি জমি যখন নদীর কবলে পড়ে তখন কৃষকের মাথায় চিন্তার ভাজ এবং একরাশ হতাশা যেন জীবনে কালো মেঘের জমাট বাঁধায়।
বলছি, গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ধুতিচোড়া,শীলপাড়ার মানুষের কথা। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি কমতে থাকায় এ এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে প্রায় শত বিঘা চাষযোগ্য আবাদি জমি।
তীব্র এই ভাঙ্গনকে ঘিরে অনেকের মধ্যে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এলাকার তাপস পাল বলেন, এই জায়গায় এর আগে এমন ভাবে বালু তুলে গর্ত করেছে! এই বালু খেকোদের কারণেই নদী ভাঙ্গন বেশি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি ভাঙ্গছে। এর মুল কারণ অবৈধভাবে বেশি করে বালু উত্তোলন। এগুলো কি বন্ধ করার কেউ নাই!
স্থানীয় যুবক নয়ন শীল বলেন, যেভাবে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আবাদি জমি পাশের সবগুলোই প্রায় চলে যাবে। পাশেই স্রোতের গতিরোধক গোড়াইন রয়েছে সেদিকেও ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে এগোচ্ছে।
শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নদী ভাঙ্গনের ফলে এখানকার মানুষের আহাজারিতে যেন আকাশ ভারী করে আসছে। কারও আবার আবাদি জমির শেষ সম্বল টুকুও চলে গেছে। তবে ভাঙ্গন রোধকল্পে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।
সচেতন মহল বলছেন, ভাঙ্গনের ফলে রোপনকৃত জমি নদীগর্ভে গেছে,দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাকী জমি গুলো পানিতে চলে যাবে। ভাঙ্গনরোধে দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে মানুষের ক্ষতি লাঘবে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।