ছবিঃ চ্যানেল ১১ নিউজ
উত্তম চাকমা, মহালছড়ি (খাগড়াছড়ি)
সারাবিশ্ব ব্যাপি আজ বৌদ্ধধর্মালম্বীদের শুভ মধুপূণির্মা খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়িতে ও বৌদ্ধ মন্দিরে মন্দিরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে শুভ দিনটি পালিত হয়েছে।
আজ ২৯ শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং (শুক্রবার) খাগড়াছড়ি জেলা মহালছড়ির ২নং মুবাছড়ি ইউনিয়নের মিলনপুর বনবিহারে সকালে বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। বিহারে অধিপতি অধ্যক্ষ শ্রদ্ধেয় শ্রদ্ধাতিশ্য মহাথেরো ভান্তে স্বশিষ্য উপস্থিত অনুষ্ঠানে আসন গ্রহণ করেন। এতে ত্রিশরন প্রার্থনাসহ পঞ্চশীল ও অষ্ট শীল গ্রহণ – বুদ্ধপুজা, আটাশবুদ্ধপুজা, সীবলি পুজা, মধুদান,পিন্ড দান, হাজার প্রদীপ দান, অষ্টপরিষ্কার দান, সংঘদান সহ নানাবিধ দান করা হয়। এছাড়াও অনুষ্টানে বিশ্ব জগতে সকল প্রাণী মঙ্গলার্থে প্রার্থনা ও ধর্ম দেশনা শ্রবণসহ বৌদ্ধ উপাসক- উপাসিকারা উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সুষময় চাকমার সঞ্চালনায় ও নীল রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ৬নং ও ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবু যুদ্ধ রঞ্জন চাকমা ও রিপন চাকমা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিহার পরিচালনা কমিটি, সাম্মাদিটঠি ফাউন্ডেশন সদস্য বৃন্দ, উক্ত এলাকায় বৌদ্ধধর্মালম্বীরা উপাসক -উপাসিকা বৃন্দ।
মধু পুর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মীয় ইতিহাসের একটি বিরল ঘটনা। সারা দেশে এদিনটি বৌদ্ধ উপাসক-উপসিকারা মন্দিরে মন্দিরে গিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করে।
মধুপুর্ণিমা তাৎপর্য তথাগত বগবান বুদ্ধ যখন পারিলেয়্য নামক বনে বর্ষাব্রত পালন করা সময় একটি হাতি বুদ্ধকে সেবা দান পুজা করত।সেই সময় এক বানর হাতিকে দেখে তার ও দান করা ইচ্ছা জাগে সেই দিন ছিল ভাদ্র পুর্ণিমা। তখন বানরটি ভাদ্রপুর্ণিমা একটি মৌমাছি মৌচাক সংগ্রহ করে বুদ্ধকে দান করেন। বুদ্ধ কে মধু পান করতে দেখে বানরটি খুশিতে বৃক্ষ উপর লাফাতে লাফাতে বৃক্ষ শাখা ডাল ভেঙে মাটিতে পড়ে যায় এতে বানরের মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয়ে স্বর্গের দেব পুত্র পুরে জন্মগ্রহণ করল। সেই দিনটি ছিল ভাদ্র পুর্ণিমা। ভাদ্র পুর্ণিমা কে মধু পুর্ণিমা নামে পরিচিত।
মধুপূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মীয় ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা মনে হলেও এ থেকে আমরা সেবা, ত্যাগও দান চিত্রের এক মহৎ শিক্ষা পেয়ে থাকি।পুর্ণ্যকামী সদ্বধর্ম প্রাণ উপাসক -উপাসিকা সেই মৈত্রী বার্তা আপন খুশিতে বিহারে গিয়ে এই দিন টি পুর্ণ্যের চেতনায় উচ্ছাঁসে উৎযাপন করে।