ছবিঃ চ্যানেল ১১ নিউজ
মোঃ নুর আলম গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মাহমুদপুর গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজন ও গোপালপুর প্রেসক্লাবের সহযোগিতায় শনিবার বিকালে মাহমুদপুর বটতলায় ‘স্বাধীনতা ৭১’ স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসফিয়া সিরাত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন বাঙ্গাল। প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনূছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও আলমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মোমেন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিলকিছ জাহান, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমূখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাকহানাদার বাহিনী দুই শতাধিক রাজাকার ও আলবদর সদস্যদের নিয়ে গোপালপুর উপজেলা সদর থেকে মাহমুদপুর গ্রামে আসে। হানাদাররা প্রথমে বঙ্গবন্ধুর সহচর ও নির্বাচিত এমএনএ হাতেম আলী তালুকদারের বাড়িতে লুটপাটসহ অগ্নিসংযোগ করে বাড়িঘর ভস্মীভ‚ত করে দেয়। পরে হানাদার বাহিনীর দল চাতুটিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে পৌঁছলে ধনবাড়ী উপজেলার পানকাতা হাইস্কুল প্রাঙ্গণে অবস্থান করা কাদেরিয়া বাহিনীর কোম্পানী কমান্ডার হুমায়ুন বাঙ্গালের নেতৃত্বে স্বল্প সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হয়। কিন্তু যুদ্ধের রসদ ফুরিয়ে গেলে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এরপর হানাদার বাহিনী এলাকায় নরহত্যা শুরু করে। এসময় তারা গ্রামের নিরীহ মানুষকে আটক করে মাহমুদপুর বটতলা নিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে। এতে ১৭ জন শহীদ হন। অবশিষ্টরা গুরুতর আহত হয়। নিহতদের মধ্যে এমএনএ হাতেম আলী তালুকদারের কনিষ্ঠ ভ্রাতা হায়দার আলী তালুকদার ছিলেন অন্যতম। হতাহতরা পঙ্গু হয়ে অনেকেই এখনো বেঁচে রয়েছেন।