ছবিঃ চ্যানেল ১১ নিউজ
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, মাদারগঞ্জ
এক সময় গ্রামের কৃষক আদা চাষ করতো বাড়ির পাশের উঁচু জমিতে। সে সময় আদা চাষের জমিতে লাঙ্গল দিয়ে হাল চাষ করা হতো।আদা চাষের জন্য জমি কে উর্বর করে তুলতে ব্যবহৃত হতো গোবর সার ও চুলার ছাই। জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পেলে মার্চ এপ্রিল মাসে আদার বীজবপন করতো কৃষক কৃষাণী।
সে আদা চাষাবাদে কৃষকের পরিশ্রম মত অনেক। অঙ্কুর বের হওয়ার বের হওয়ার পর। লাইন করে মাটি উঁচু করে বীজ বপন করতেন। বর্তমানে আধুনিক ও ডিজিটাল যুগে বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেকে। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি প্রদর্শনী দেওয়া হয় শামীমা আক্তার সীমা কে। জামালপুরের মাদারগঞ্জে এই প্রথম বস্তায় আদা চাষ করার স্বপ্ন দেখেন সিধুলী ইউনিয়নের হাটবাড়ী মাহমুদপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শামীমা আক্তার সীমা। জানা গেছে গতবছর পরীক্ষামূলকভাবে ৬ বস্তায় আদা চাষ করে প্রতি বস্তায় ১ কেজি করে ৬ বস্তায় ৬ কেজি আদা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওই এলাকার দিনমুজুর সাইদুর রহমান জানান সীমা আপার বস্তায় আদা চাষ দেখে আমিও আগ্রহ প্রকাশ করলাম প্রাথমিকভাবে ৬/৭ বস্তায় শুরু করলাম আদা চাষ। হঠাৎ বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হাটবাড়ী এলাকার শামীমা আক্তার সীমা জানান গত বছর আমি ইউটিউব দেখে আদা চাষে ইচ্ছা পোষণ করি প্রাথমিকভাবে ছয় বস্তায় আদা চাষ করি এবং সফল হই। এবার উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে, তারা একটা প্রদর্শনী দেয় এবং বাড়ীর আঙ্গিনায় ১২শ বস্তায় মাটি ও গোবর দিয়ে আদা চাষ শুরু করি । এ ব্যাপারে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান সীমা আক্তার বস্তায় আদা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করায় বস্তায় আদা চাষে একটা প্রদর্শনী দেয় উপজেল কৃষি অফিস । তা আমরা নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছি। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ শাহাদুল ইসলাম জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ এক ইঞ্চি জায়গাও যেন পতিত না থাকে।
এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা চত্বর সহ বিভিন্ন অফিসের সামনে ও আশ পাশের খালি জায়গায় পুষ্টি বাগান করেছি এবং উপজেলার বিভিন্ন কৃষকদের উৎসাহ প্রদান করছি। সিধুলী ইউনিয়নের হাটবাড়ী এলাকার শামীমা আক্তার সীমা এই প্রথম আদা চাষে আগ্রহী হওয়ায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে এ পদ্ধতিতে আদা চাষে কৃষাণী শামীমাকে প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ দেওয়া হয়েছে। ঐ এলাকাসহ দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক লোকজন দেখতে আসছে এবং বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন। আমি নিজেও পরিদর্শন করেছি। আশা রাখছি বস্তায় আদা চাষে উনি শতভাগ সফল হবেন।