ছবিঃ চ্যানেল ১১ নিউজ
মোঃ নুর আলম, গোপালপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের গোপালপুর সরকারি কলেজ সংলগ্ন জলিল পেশকারের বাসা থেকে ৪৫৭টি স্ক্র্যাচকার্ড ও প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত মালামালসহ চক্রের একজনকে আটকে রাখে জনতা, এসময় আরো দুইজন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঐ ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়ে মালামাল জব্দ করে। এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গোপালপুর থানায় এজাহার দায়ের করে। শনিবার (৭ অক্টোবর) বিকালে অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন গোপালপুর শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আটককৃত ব্যক্তির নাম মশিউর রহমান মোল্যা (৩৯) গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর উপজেলার লোহাইড় গ্রামের আবুল হাসান মোল্যার ছেলে। ঘটনা আচ করতে পেরে অভিযানের আগেই ঐ চক্রের আরো দুই সদস্য পালিয়ে যায়।
জানা যায়, জব্দ করা মোল্লা ইলেকট্রনিক্স এর স্ক্র্যাচকার্ডে রেজিস্ট্রেশন নং ৩৫৮৩৫৪ ও মহিলা কলেজ রোডের ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মশিউর রহমান মোল্যা জানায়, স্ক্র্যাচকার্ডে মোটরসাইকেল, কানের দুল, ল্যাপটপ, ফ্রিজ ইত্যাদি আকর্ষণীয় পণ্যর ছবি দেয়া থাকলেও এসব কখনোই দেয়া হয় না। এসব ছবি দেখিয়ে তারা মূলত গ্রামের মানুষকে বোকা বানায়। দীর্ঘদিন থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় তারা প্রতারনা চালিয়ে আসছে।
শিল্প ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা আঙ্গুর বলেন এমন অভিযান পরিচালনা করায় পুলিশকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। নিয়মের বাইরে কাউকে গোপালপুরে ব্যবসা পরিচালনা করতে দেয়া হবে না।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ বলেন, জনতার হাতে আটক একজনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ, নিয়মিত মামলা দায়ের শেষে আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের ধরার চেষ্টা চলছে।