ছবিঃ চ্যানেল ১১ নিউজ
উত্তম চাকমা,মহালছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ি জেলা মহালছড়ি উপজেলাতে খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতি কর্তৃক পরিচালিত “আমাদের জীবন,আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের ভবিষ্যৎ,, প্রকল্পের বার্ষিক অগ্রগতি শেয়ারিং ও প্রকল্প কার্যক্রম সমাপনী আলোচনা সভা আজ ২২নভেম্বর ২০২৩খ্রি: বুধবার মহালছড়ি উপজেলা নিবাহী অফিসার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রকল্পের লক্ষ্য পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রান্তিক কিশোর ও নারীদের ক্ষমতায়ন করা যেন তারা মর্যাদা সহকারে ও সহিংসতামুক্ত ভাবে জীবন যাপন করতে পারে। প্রকল্পটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে অর্থায়নে সিমাভি, নেদারল্যান্ড ও বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) এর সহযোগিতায় খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির বাস্তবায়নে মহালছড়ি ও গুইমারা উপজেলা ৩০ টি কিশোরী ক্লাবে প্রকল্পটি বাস্তয়ন করা হয়েছে।
২০১৯ খ্রিঃ হতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে প্রকল্প টি ২০২৩ খ্রি: ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্পে কার্যক্রমগুলো একদিকে কিশোর ও যুব নারীদের ব্যক্তিগত সৃজনশীল কাজের দক্ষতাকে বৃদ্ধি পেয়েছে, পাশাপাশি তাদের এই সৃজনশীল প্রতিভা গুলো স্হানীয়, আঞ্চলিক, জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে সাথে এ্যাডভোকেসির মাধ্যমে সমাধানের ভুমিকা রাখছে।
এ সময় প্রকল্প সমন্বয়কারী কাজল বরন ত্রিপুরার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি উপস্থিত হিসেবে ছিলেন মহালছড়ি উপজেলা নিবাহী অফিসার জনাব পারভীন খানম।
নির্বাহী পরিচালক খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতি শেফালিকা ত্রিপুরার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহালছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল,সাজাই মারমা ইউপি মাইস ছড়ি চেয়ারম্যান,ডাঃ দীপময় তালুকদার মহালছড়ি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, সুপন চাকমা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, মন্টু চাকমা প্রধান শিক্ষক মহালছড়ি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,স্বদেশ প্রীতি চাকমা হেডম্যান মাইসছড়ি মৌজা, ইন্দুদেবী ত্রিপুরা ফিমেল মেন্টর, বক্তব্য রাখেন এই পর্যায়ে প্রকল্পে লক্ষ্য হচ্ছে যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার, মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্হাপনা, জেন্ডার ভিত্তি্ক সহিংসতা উপর কার্যক্রম বিষয় এবং বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে, পাড়া পর্যায়ে কিশোরী ও যুব নারীরা অনেক সচেতন হয়েছে, পাশাপাশি তাদের অভিভাবকরা ও খুবই সন্তুষ্ট।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব পারভীন খানম বলেন,পরবর্তীতে যদি এধরণের প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও চালু করতে বলেন। এছাড়া ও উপস্থিত বক্তারা প্রকল্পের কার্যক্রমে খুবই সন্তুষ্টি প্রকাশ করছে, প্রকল্পটির কর্ম এলাকা বৃদ্ধি করে চলমান থাকলে ভবিষ্যতে আরো প্রান্তিক,পিছিয়ে পড়া কিশোরী ও যুব নারীরা এগিয়ে আসতে সক্ষম হতো বলে জানান।