ছবিঃ চ্যানেল ১১ নিউজ
উত্তম চাকমা,মহালছড়ি,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
আজ দুপুর ৩ টার দিকে মহালছড়ি জোনের জোন অধিনায়কের পক্ষে ফিতা কেটে ও শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে স্বপ্নবিলাস ফ্লাওয়ার ভিলেজ এর উদ্বোধন করেন ক্যাপ্টেন মোঃ মেজবাহ উল মুহিত।
এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মহালছড়ি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল, মহালছড়ি জোনের ওয়ারেন্ট অফিসার মো. মোস্তাফিজ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বক্তারা স্বপ্নবিলাস ফ্লাওয়ার ভিলেজ এর স্বত্বাধিকারী খালেদ মাসুদ সাগরের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তিনি এখন এলাকার আইডল। তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে তার সৃজনশীল কর্মের মাধ্যমে ইতিমধ্যে মহালছড়িকে সারাদেশের মানুষের কাছে পরিচিতি করে তুলেছেন তিনি। তার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সবাইকে তার পাশে থাকার আহবান জানান বক্তারা।
এছাড়াও বক্তারা অন্যান্য তরুন তথা বেকার যুবকদের তার কাজ গুলো দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে বেকার বসে না থেকে উদ্যেক্তা হওয়ার আহবান জানান।
মহালছড়ি সদরের মুড়াপাড়া এলাকায় প্রায় ২ বিঘার উপর মনোরম পরিবেশে বিভিন্ন জাতের ফুল দিয়ে গড়ে তুলা হয়েছে স্বপ্নবিলাস ফ্লাওয়ার ভিলেজটি। ভিতরে আছে রেস্টুরেন্টও, দর্শনার্থীরা খাবারের অর্ডার দিয়ে খাবার গ্রহন করতে পারবেন।
এই স্বপ্নবিলাস ফ্লাওয়ার ভিলেজটি ইতিমধ্যেই মহালছড়ি সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছে হয়ে উঠেছে মনোরঞ্জন ও সময় কাটানোর একমাত্র স্থান।
স্বপ্নবিলাস ফ্লাওয়ার ভিলেজ এর স্বত্বাধিকারী তরুন উদ্যোক্তা খালেদ মাসুদ সাগর। তিনি স্বপ্নবিলাস এগ্রোফার্মের স্বত্বাধিকারীও। তিনি এখন এলাকার আইডল। পড়াশুনা শেষ করে চাকরি আশায় বসে না থেকে তরুন উদ্যোক্তা হিসেবে কয়েক বছর আগে মহালছড়িতে তিনিই প্রথম গড়ে তুলেছিলেন স্বপ্নবিলাস এগ্রোফার্ম। এই এগ্রোফার্মটি এখন মহালছড়ি তথা পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের মুখে মুখে। তিনি ইতিমধ্যেই সবার মন জয় করে নিয়েছেন এই এগ্রোফার্মের মাধ্যমে। এই এগ্রোফার্মটি করে তিনি শুধু নিজে স্বাবলম্বী হয়েছেন তা না, করেছেন এলাকার অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা। তিনি বরাবরই স্বপ্ন দেখেছেন নিজে কিছু করে এলাকাবাসীকে ভালো কিছু উপহার দিবেন। সেই স্বপ্নের কিছুটা বাস্তবায়ন করলেন আজকে স্বপ্নবিলাস ফ্লাওয়ার ভিলেজ এর উদ্বোধন এর মাধ্যমে।