ছবিঃ চ্যানেল ১১ নিউজ
বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা নিউমার্কেট মোড় ফুট পাত অবৈধভাবে দখল করে দীর্ঘদিন ধরে হকাররা ব্যবসা করে আসছিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে তা অবমুক্ত করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানে সিটি কর্পোরেশনের সাথে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সহ যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় হকাররা প্রতিবাদ করেন এবং তাদের সাথে অন্যায় হয়েছে বলে দাবি করেন। তারা বলেন আমাদেরকে কোনরকম পূর্ব সতর্কতা ছাড়া হঠাৎ করে অভিযান পরিচালনা করায় তারা মালপত্র সারানোর কোন সময় পান নাই। তারা কর্পোরেশনের এই অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
মূলত চট্টগ্রামের হকার স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত নিউমার্কেট আমতল থেকে ফল-মন্ডি পর্যন্ত ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করে আসছিল প্রায় ৫ হাজারের মতো হকার। ৮ ফেব্রুয়ারি নগরের ফল মন্ডি পুরাতন রেল স্টেশন রিয়াজউদ্দিন বাজার, নতুন রেলস্টেশন, নিউমার্কেট, জিপিও, তামাককুন্ডিলেন, আমতলসহ আশপাশের প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা থেকে হকারদের উচ্ছেদ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।
প্রায় এক হাজার ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন সংস্থার ৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। সাথে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিপুল সংখ্যক কর্মী। মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলেছে। ফুটপাতে দোকান বসাতে বসাতে অনেকে সেখানে স্থায়ী অবকাঠামো করে ফেলেছিল সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদের সময় তেমন কোন বাধা আসেনি। তবে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন ফুটপাত উদ্ধারে কোন ধরনের আপোষ করব না। প্রতিটি ফুটপাত নগরবাসীকে ফিরিয়ে দেব। তিনি বলেন অনেকে অনেক তদবির করছে অনেক নেতারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতেছে। তবে আমি এসব পরোয়া করি না।
নিউমার্কেট মোড় এলাকা থেকে অভিযানের পর এখানে কর্পোরেশনের উদ্যোগে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে, ফুটপাতের পাশে ফুলের টপ থাকবে। সাথে নালাও পরিষ্কার করে দেওয়া হচ্ছে। জনসাধারণের চলাচলে যাতে কোন বাঁধা সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই সংস্কার কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অভিযানের দুদিন পর চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী তার ফেসবুক পেইজে একটি ছবি আপলোড দেন তিনি নগরবাসীকে আশ্বস্ত করতে চান প্রতিটি ফুটপাত দখলমুক্ত করে এভাবে দৃষ্টিনন্দন করা হবে । যাতে নগরবাসী আনন্দে নিরাপদ যাতায়াত করতে পারে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা চান। মেয়র বলেন আমি সাহস করে এবং নিজের উপর ঝুকি নিয়ে চট্টগ্রামের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছি উদ্ধার হওয়া জায়গা রক্ষায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছি পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া জায়গায় নিয়মিত মনিটরিং চলবে। কোন হুমকি কাজ হবে না ।
যে জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে তাদের জন্য কাজ করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। উচ্ছেদ অভিযানের এক পর্যায়ে সংবাদকর্মীরা ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে জানতে চাইলেন এর আগেও অনেকবার এরকম উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে পরে আবার দেখা যায় আগের মতই হয়ে যায় আর যাতে না হয় এ ব্যাপারে আপনাদের কি উদ্যোগ আছে। ম্যাজিস্ট্রেটরা বললেন আর যাতে বসতে না পারে এজন্য নিয়মিত টহল পুলিশের ব্যবস্থা থাকবে।