আকাশে মেঘ জমলেই ঝিনাইগাতী উপজেলার কান্দুলী আশ্রয়নের বাসিন্দাদের ঘুম হারাম হয়ে পড়ে। বৃষ্টি হলেতো কথাই নেই। সন্তানাদি নিয়ে আশ্রয়নের বাসিন্দাদের জেগেই কাটাতে হয় সারা রাত। ভাঙ্গা ঘরে রোদ বৃষ্টিতে ভিজে মানবেতর জীবনযাপন করছেন কান্দুলী আশ্রয়নের বাসিন্দারা। তারা জরুরি ভিত্তিতে বিধ্বস্ত ঘরগুলো সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে,১৯৯৯ সালে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের কান্দুলী গ্রামে এ আশ্রয়ন প্রকল্পটি গড়ে তোলা হয়। সেনাবাহিনীর ২৭ এসটি ইউনিট ব্যাটালিয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেন। কুঞ্জবিলাস নামে এ আশ্রয়ন প্রকল্পে ৬ টি ব্যারাকে ৬০ জন গৃহহীন ছিন্নমুল ভুমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। বর্তমানে এ আশ্ররয়ন প্রকল্পে ছোট -বড় নারী পুরুষ ও শিশু – কিশোরসহ প্রায় ২ শ লোকের বসবাস।এখানে বসবাসকারিরা প্রায় সবাই দিনমজুর। অভাব-অনটন, দুঃখ আর দুর্দশায় এ আশ্রয়নের বাসিন্দাদের নিত্যসাথী। আশ্রয়নের ঘর হস্তান্তরের পর থেকে গত প্রায় দুই যুগেও ঘরগুলো আর সংস্কার করা হয়নি। দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের পক্ষে ঘরগুলো আর সংস্কার করাও সম্ভব হয়নি। ফলে ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বহু আগে থেকেই।
এখানে ৬ টি নলকূপ দেয়া হয়েছিল তা সবই অকেজো। নিচু স্থানে ঘর নির্মাণ করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বর্ষাকালে ঘরগুলোতে থাকে হাটু পানি। এসময় আশ্রয়নের বাসিন্দাদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে আশ্রয়নের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। আশ্রয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ দুদু মিয়া সহ অন্যান্যরা আক্ষেপের সুরে বলেন, “আকাশে মেঘ জমলেই সবারই ঘুম হারাম হয়ে যায়। শুধু তাই নয় বৃষ্টিতে ভিজে ছেলে – মেয়ে নিয়ে দুর্ভোগের সীমা থাকে না”
ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন বহু আগে থেকেই ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তিনি আশ্রয়নের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লাগবে ঘরগুলো সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুঁইয়া বলেন, ঘরগুলো সংস্কারের বিষয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রতিবেদন প্রেরন করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলেই ঘরগুলো সংস্কার করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।