মোঃ জাহিদুল ইসলাম শিহাব(সন্দ্বীপ) চট্টগ্রাম
গত ১৯ মে সকাল ১০ টায় সন্দ্বীপের সন্তোষপুরে ভাসুরপুত্র কর্তৃক গলায় ছুড়িকাঘাতে হত্যা চেষ্টায় আহত হওয়া পলি বেগমের জ্ঞান ফিরেছে।
রবিবার সকালে ১৯ মে প্রথমে আহত অবস্থায় সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেন।
(১৯ মে) রাত ১১ টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্স যোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) থেকে ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নেয়া হয়। সোমবার সকালে অস্ত্রপাচার হয়। অস্ত্রপাচার সফল হলে পরবর্তী পর্যবেক্ষনের জন্য নেওয়া হয় আইসিইউতে।
পলি বেগমের সাথে থাকা সন্তোষপুর ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সেলিম মেম্বার জানান- গতকাল সোমবার (২০ মে) রাত ১০ টার পর আইসিইউতে থাকা অবস্থায় চোখ খুলেছেন। আহত পলির সাথে থাকা সমাজকর্মী মাইনউদ্দীন ভূইয়া জানান - চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা নিয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সকালে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। অস্ত্রপাচার সম্পন্ন হওয়ায় পর তার জ্ঞান ফেরে। চোখ খোলার দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টার পর পরিবারের মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস আসে।
আহত পলি বেগম সন্তোষপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের নুর মিয়া পাটোয়ারি বাড়ির প্রবাসী মোঃ রিপনের স্ত্রী। রিপন দুবছর যাবৎ সৌদি প্রবাসী। তার দুটি সন্তান রয়েছে। ফরহাদ তার ভাসুর মোঃ বেলালের ছেলে।
এলাকাবাসী ও ফরহাদের বাড়ির লোকজন সুত্রে জানা যায় - ফরহাদ তার চাচিকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দেয়। ঘটনার দিন বৃষ্টি ছিল। তার কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় পলি বেগমের মা নিলুফা বেগম (৫৭) বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সন্দ্বীপ থানা পুলিশ ও এলাকাবাসীর সহায়তায় রবিবার বিকেল ৫ টার পর গাছুয়া ইউনিয়নের ৬ নাম্বর ওয়ার্ড থেকে অভিযুক্ত ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন পিপিএম বার বলেন- এই ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর আমি ফোর্স সহ সন্তোষপুর যায় স্থানীয় চেয়ারম্যান আমাকে সহযোগিতা করছে।খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ভিকটিমকে সহায়তা করাসহ পলাতক আসামি ফরহাদকে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করি। পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।