মোঃ চয়ন ইসলাম, সিরাজগঞ্জ
পরকীয়া প্রেমিকের কথায় স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার পরেও তাকে বিয়ে না করায় দিশেহারা হয়ে বিয়ের দাবিতে সেই প্রতারক প্রেমিকের বাড়িতেই অনশন করছেন ২ সন্তানের জননী। পরে প্রেমিকাকে বাড়িতে ফেলে পালিয়ে যায় তুহিন ইসলাম বাবু নামের ৩৫ বছর বয়সী সেই প্রেমিক।
ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরশহরের নলুয়া গ্রামে। প্রেমিক তুহিন ইসলাম বাবু ওই গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
রবিবার (২৭শে জুলাই) বিকাল ৪টায় তুহিন ইসলাম বাবুর সাথে বিয়ের দাবিতে তাদের বাড়িতে মোছাঃ আসমা খাতুন নামের এক নারী চলে আসে। আসমা খাতুন উপজেলার শেলাচাপড়ি গ্রামের এসএম সাইফুল ইসলামের মেয়ে ও ২ পুত্র সন্তানের জননী।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে শাহজাদপুর পৌর শহরের নলুয়া গ্রামে গেলে অনশনরত ওই নারী জানান, বাবুর সাথে তার ৩ বছরের পরিকীয়া প্রেমের সম্পর্ক। তিনি পৌর শহরেই একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, ২০১৩ সালে ডায়া গ্রামের আবু হানিফের সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছর বয়সী ও ৪ বছর বয়সী ২টি ছেলে সন্তান রয়েছে।
বাবুর বিয়ের আশ্বাসে নারীটি তার স্বামীকে চলতি বছরের ১৭ই এপ্রিল তালাক দেন। কথা ছিল তাকে বিয়ে করে তার ২টি সন্তানকেও বাবু আপন করে নিবে। চলতি মাসের ৭ই জুলাই বিয়ের দিনও ঠিক করেন দুজন, এ লক্ষ্যে কিছু বিয়ের বাজারও তারা করেন।
কিন্তু হঠাৎ করেই আসমা খাতুনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় বাবু, অনেক চেষ্টা ও অনুনয় বিনয় করেও বাবুর মন গলাতে পারেননি। পরে উপায়ান্তর না দেখে তিনি বিয়ের দাবিতে বাবুর বাড়িতে অবস্থান নেন।
এ বিষয়ে জানতে পরকীয়া প্রেমিক বাবুর মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে প্রেমিক বাবুর মা জানান, একজন ২ সন্তানের মাকে কখনো অবিবাহিত ছেলে বিয়ে করতে পারে না। এই মেয়ে যে কথাগুলো বলছে সবই মিথ্যা।