মোঃ চয়ন ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সদ্য সাবেক হওয়া শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র শেখ হাসিনার খালাতো ভাই মনির আক্তার খান তরু লোদীর নামে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পৌর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থী যুবদল নেতা মাহমুদুল হাসান সজল।
২০ আগস্ট মঙ্গলবার শাহজাদপুর চৌকি আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদী, তার ছেলে সীমান্ত লোদী, ভাতিজা রায়হান লোদী সহ মোট ৩৯ জন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বাদী মাহমুদুল হাসান সজল উল্লেখ করেন, উল্লেখিত আসামিরা শাহজাদপুরে দীর্ঘদিন যাবৎ দাঙ্গাবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কাজের সাথে যুক্ত। তারা উভয়ে পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কালীন মেয়র তরু লোদী বাদীকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
পরে নির্বাচনী প্রচারণা করার সময় উল্লেখিত আসামিরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাহমুদুল হাসান স্বজল ও তার নেতাকর্মীদের উপরে হামলা চালিয়ে মারপিট করে তাদের ব্যবহৃত ৪টি মোটরসাইকেল, বেশকয়েকটি মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাদীকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় বিভিন্ন কক্ষের আলমারি ভেঙে নগদ ২০ লাখ টাকা, ১৯ লাখ টাকার গহনা লুটপাট ও ২ লাখ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র, দরজা জানালা ভাঙচুর করে চলে যায়।
মামলায় আরো উল্লেখ্য করা হয়, নির্বাচনের দিন ১নং আসামি তরু লোদী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খালাতো ভাই পরিচয় দিয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করে। ধানের শীষের এজেন্টদের সকল কেন্দ্র থেকে মারধর করে বের করে দিয়ে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দিয়ে অবৈধভাবে নির্বাচিত হয়।
নির্বাচনের পরেও মাহমুদুল হাসান সজলের কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ঘরে পৌর মেয়র তরু লোদী সহ উল্লেখিত আসামিরা হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। বাদী মাহমুদুল হাসান সজলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিগত সময়ে আমি শাহজাদপুর থানায় মামলা করার চেষ্টা করেছি কিন্তু আমার মামলা নেওয়া হয়নি। আসামিরা খুবই প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে আমি ও আমাদের কর্মীসমর্থকরা সবাই জীবন রক্ষায় আত্মগোপনে ছিল।
এদের কারণে শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া অবৈধভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়ে তরু লোদী শাহজাদপুর পৌরসভাকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছে। আমি মাননীয় আদালতের কাছে এই অপরাধীদের দ্রুততম সময়ের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই।