তারিকুল আলম, সিরাজগঞ্জ সদর প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিরাজগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়া ১০ পরিবারকে ব্যক্তিগত অর্থায়নে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের গুড ফুড রেস্টুরেন্টে নিহত ১০ পরিবারের হাতে এ আর্থিক সহায়তা তুলে দেন তিনি।
এ সময় জামায়াত আমিরের আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিষয়ে সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরে শুধু বিএনপির নেতাকর্মীকেই নির্যাতন করেননি। তারা ক্ষমতার শেষ সময়েও ছাত্র-জনতার উপরে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এতে মা-বাবা হারিয়েছে সন্তান, স্বামী হারিয়েছে স্ত্রী, বোন হারিয়েছে ভাই। কাজেই এদের এসব হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্ষমার কোন সুযোগ নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সহায়তা পাওয়া ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদরা হলেন- সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের সোহানুর রহমান রঞ্জু, আব্দুল লতিফ, সুমন সেখ, আব্দুর রশিদ, এনায়েতপুর থানার আব্দুল আলিম, ইয়াহিয়া আলী ও শিহাব আহম্মেদ, হাফেজ সিয়াম হোসেন, রায়গঞ্জ উপজেলার নজরুল ইসলাম ও লেবু সেখ।
সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের নিহত শহীদ সোহানুর রহমান রঞ্জুর স্ত্রী মৌসুমী খাতুন এ আর্থিক সহায়তা পেয়ে বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান বাচ্চুর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, স্বামীর উপার্জনেই আমাদের সংসার চলতো। এখন একটি শিশু সন্তান বুকে নিয়ে বিচারের আশায় বেঁচে আছি।
আমার স্বামীকে ওরা (আওয়ামী লীগ) গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি এই হত্যাকারিদের দ্রুত ফাঁসি দাবি করেন।
নিহত আব্দুল লতিফের বোন সালেহা খাতুন বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান বাচ্চুর ব্যক্তিগত অর্থায়নে দেয়া আর্থিক সহায়তা হাতে পেয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি কান্নাকন্ঠে বলেন, আমার ভাইকে আওয়ামী লীগের লোকজন একটি নয়, দুটি গুলি করে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকারিদের উপযুক্ত শাস্তি চাই। একই সাথে হত্যা মামলার চিহ্নিত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
এসময় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এস এম রঞ্জু, যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক হারুন অর রশিদ খান হাসান, সহ-দফতর সম্পাদক সাংবাদিক শেখ মোঃ এনামুল হক, সহ-প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক রেজাউল করিম খান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহসম্পাদক সাংবাদিক এম দুলাল উদ্দিন আহমেদসহ বিএনপি ও অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।