১০ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে চোখের সামনে ভেসে উঠে অসহায়ত্বের এক করুন চিত্র। বলছিলাম লোহাগাড়া-সাতকানিয়া সীমান্ত এলাকার রিকশা চালক, ৪ সন্তানের জনক আব্দুল মান্নানের কথা।
সে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের রোহাগাড়ার সীমান্ত এলাকার দক্ষিণ চিব্বাড়ি খোন্দকার পাড়ার মৃত হারুনর রশিদের ছেলে। রিকশা চালিয়ে সন্তানের পড়ালেখার খরচ, সংসারের খরচ সামলিয়ে কোন রকমে খোলা আকাশের নিছে দিন যাপন করছিলেন অসহায় মান্নান।
এরই মধ্যে প্রতিপক্ষের বিভিন্ন রকমের হামলা মামলার হয়রানিতে সর্বস্ব হারিয়ে এখন নিঃস্ব প্রায়। দীর্ঘদিন পর তার পৈত্রিক ভিটেমাটি ফিরে পেয়ে আশার আলো দেখছেন রিকশাচালক মান্নান। তার এই মজলুম জীবনের অসহায়ত্বের কথা বলতে গিয়ে আবেগাল্পুত হয়ে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন, তিনি আক্ষেপ করে বলেন ১৪ শতক জায়গার ভিটেমাটির মধ্যে এখনো ২ শতক জায়গা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। ভিটেমাটি ফিরে পেয়ে অন্তত একটা আশ্রয় পেয়েছি, থাকছি খোলা আকাশের নিছে, বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে সন্তানদের নিয়ে সেখানে একটি ঘর করে বসবাস করতে পারবো।
ভিটেমাটি ফিরে পেতে সহযোগিতা করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকবৃন্দ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি এবং বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।