নুর হোসেন (চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি)
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের করেরহাট, হিঙ্গুলী, জোরারগঞ্জ, ধুম, ওসমানপুর, ইছাখালী, কাটাছড়া, দুর্গাপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় নলকূপের পানির লেয়ার (স্তর) অনেক নিচে নেমে গেছে… (আগে যেখানে ৩০-৫০ ফুটের মধ্যে পানি পেত সেটা ১০০-১৫০ ফুট বা তাঁরও বেশি এসে গেছে)। শুষ্ক মৌসুম বা খরার সময় সেটি তীব্র আকার ধারণ করে।
বিশেষ করে হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব হিঙ্গুলী, উত্তর ইসলামপুর এলাকা সহ অনেক এলাকায় বিগত ২ বছর ধরে তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় বাসিন্দারা হতাশার মধ্যে আছে আর এটার জন্য দুষছেন প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম কে!
এবিষয়ে হিঙ্গুলী, বারইয়ারহাট, জোরারগঞ্জ ও আশেপাশের ভুক্তভোগী লোকজন বিএসআরএম গেইট এলাকায় খালি কলসি, পাতিল ও পানির পাত্র নিয়ে মানববন্ধন করে সহযোগিতা চায়। তবে এখনো হয়নি বৃহৎ এই সমস্যার সমাধান ও আশু প্রতিকার।
দুঃখ জনক হলেও সত্যি দুই থেকে আড়াই বছর যাবৎ বেশিরভাগ টিউবওয়েল প্রায় পানিশূন্য। পানি সংকট থেকে পরিত্রাণ পেতে অনেকে মোটর ব্যবহার করছেন সেক্ষেত্রেও পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
এই সংকট প্রাকৃতিক নাকি মানবসৃষ্ট সেটা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ খুবই জরুরী হয়ে গেছে।
সাধারণ মানুষের দীর্ঘশ্বাসের অবসান এবং এর সঠিক সমাধান কি কখনো হওয়ার সম্ভাবনা আছে..???
যথাযথ কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থে এবিষয়ে একটু সুনজর দিবেন কি??