মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (মাদারগঞ্জ প্রতিনিধি)
জীবিকার তাগিদে প্রবাসে গিয়ে লাশ হয়ে দেশে ফিরলেন মাদারগঞ্জের ফরিদুল। অনেক স্বপ্ন ও আশা নিয়ে ওমান পাড়ি জমিয়েছিলেন জামালপুরের মাদারগঞ্জের ফরিদুল ইসলাম ( ২৬)।
সেখানে টাকা আয় করে নিজ গ্রামে সবার চেয়ে ব্যতিক্রম একটি বাড়ি করবেন। কিন্তু মাত্র ৩ মাসের মাথায় কফিনে বন্দি লাশ হয়ে দেশে ফিরতে হলো তাকে। ফরিদুল ইসলাম উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের পূর্বসুখনগরী গ্রামের সুরুজ আকন্দের ছেলে। নিজ মামা শ্বশুরের মাধ্যমে মাত্র ৩ মাস আগে ওমানে পাড়ি দেন ফরিদুল ইসলাম। তাকে ড্রাইভিং ভিসার কাজের কথা বলে নিয়ে গেলেও ফরিদুলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে গভীর সাগরে ট্রলারে মাছ ধরার কাজ দেয়। গত ১০ জুন বিকেলে সাগরে মাছ ধরার সময় ফরিদুলের ট্রলারটি ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এতে ফরিদুল পানিতে ডুবে মারা যায়।
মারা গেলেও তার লাশ পাওয়া যাচ্ছিলো না ফলে নিখোঁজ হন তিনি। নিখোঁজের ৪ দিন পর লাশ উদ্ধার করে সেখানকার ডুবুরি দল। ফরিদুলের মৃত্যুর ১৫ দিন পর তার লাশ দেশে আসলো। রবিবার (২৫ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ফরিদুলের কফিনবন্দি লাশ গ্রহণ করেন তার চাচাতো ভাই সাদেক আকন্দ। রাত ১২টার দিকে ফ্রিজিংবাহী লাশের গাড়িতে করে নিজ গ্রাম জামালপুরের মাদারগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হোন। সকাল ৬টার দিকে বাড়িতে পৌছায় তার লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ীটি।
সকাল সাড়ে ১১ টায় স্থানীয় একটি স্কুল মাঠে জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কথা রযেছে। ওমানে নিখোঁজ হওয়ার দিন থেকেই পরিবারে চলছে শোকের মাতম। আয় উপার্জনের একমাত্র ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা তার স্ত্রী জীবন আক্তার । ২ টি শিশু সন্তান নিয়ে কিভাবে চলবে আগামী দিন সেই কথায় বলছিলেন অনেকেই। এদিকে ওমানে নিয়ে প্রতারণা করায় ঘাতক মামা দিদারুল ইসলামের বিচার চায় ফরিদুলের পরিবার। তার চাচাতো ভাই সাদেক আকন্দ বলেন,ফরিদুলকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ড্রাইভিং ভিসায় কিন্তু তাকে সেই কাজ না দিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সাগরে মাছ ধরার কাজ দিয়ে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তার প্রতারণার আমরা বিচার চাই। লাশ কাছে পেয়ে চলছে পরিবারের শোকের মাতম