ছবিঃ চ্যানেল ১১ নিউজ
নুর হোসেন, মিরসরাই, চট্টগ্রাম
যানজট কমাতে পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের স্থান তৈরির পাশাপাশি পার্কিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চসিক, সিএমপি এবং বিআরটিএ’র মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন মেয়র। সভায় বিট্র্যাক সলিউশন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে পে-পার্কিং চালুর বিষয়ে পাইলট প্রকল্পের রূপরেখা তুলে ধরে।
সভায় মেয়র রেজাউল বলেন, চট্টগ্রামকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু বড় প্রকল্প গ্রহণ করায় চট্টগ্রামে গাড়ির সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতের চট্টগ্রামকে ট্রাফিক জ্যাম মুক্ত করতে হলে প্রযুক্তিভিক্তিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা চালু করতে হবে।তিনি আরও বলেন, নগরীতে পর্যাপ্ত রাস্তা থাকা সত্ত্বেও কিছু পয়েন্টে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করায় যানজট তৈরি হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে আমি দীর্ঘদিন ধরে পে-পার্কিং চালুর পক্ষে জনমত গঠনের চেষ্টা করছি। সংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠানের মতামতের ভিত্তিতে প্রযুক্তিভিত্তিক পে-পার্কিং চালু করা গেলে নগরীর যানজট অনেকটা কমে আসবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তার আলোকে আমরা স্মার্ট পে-পার্কিং সিস্টেম চালু করব।আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা এবং ওয়াসা মোড় থেকে ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ২৩ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) চসিক, সিএমপি এবং বিট্র্যাক সলিউশন যৌথভাবে জরিপ চালিয়ে যে কোন একটি স্থানে প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রকল্প চালু করার প্রস্তাব উঠে আসে সভায়।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পে-পার্কিংকে জনপ্রিয় করতে প্রয়োজনে গণবিজ্ঞপ্তি ও মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করব আমরা। নগরীকে হকারমুক্ত করতে ‘নাইট মার্কেট’ চালুর প্রস্তাব দেন তিনি।
চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, পে-পার্কিং চালুর পাশাপাশি ব্যাটারি রিকশা নিয়ন্ত্রণ ও গণপরিবহন বিকেন্দ্রীকরণে সিএমপি এবং বিআরটিএ’র সহযোগিতা দরকার।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, চসিকের পে-পার্কিং চালুর উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানায়। প্রকল্পের ক্ষেত্রে পার্কিং করা গাড়ির নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রকল্পের প্রয়োজেন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোকবল নিয়োগ করতে হবে।
বিআরটিএ’র পরিচালক শফিকুজ্জামান ভূঞা বলেন, নগরীতে পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য রুট র্যাশনালাইজেশন করছে বিআরটিএ। একেক শ্রেণীর গাড়িকে একেকটি রুটের ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে নগরীতে জ্যাম হ্রাস পাবে।