চ্যানেল ১১ নিউজ২৪ ডেস্ক রিপোর্ট
মেলান্দহ সরকারী কলেজ থেকে এবার এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়েছেন উপজেলার ৬ নং আদ্রা ইউনিয়নের বালুয়াটা গ্রামের হতদরিদ্র দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তাজুল মিয়ার ছেলে সাদিকুল।
৪ ভাইবোনের মধ্যে সাদিকুল ২য়। বাবা তাজুল ইসলাম দৃষ্টি প্রতিবন্ধী।
সাদিকুলের ছোট ভাই সেও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী।
অভাব অনটনে সংসার চলে বাবার ভিক্ষাবৃত্তি আর মায়ের অন্য বাড়িতে ঝিয়ের কাজের মাধ্যমে।
একমাত্র সম্ভল দাদার রেখে যাওয়া পৌণে ৭ শতাংশ জমি। সে জমিটুকু দখলের চেষ্টা করলে কিছু জমানো টাকা, স্ত্রীর বাবার বাড়ির ভাগের জমি বিক্রি করে কোন রকমে একটা পাকা ঘর করেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তাজুল ইসলাম।
সম্ভল এখন এতটুকুই।
প্লাষ্টার বিহীন এ ঘরেই বসবাস করছেন সাদিকুল ও তার পরিবার।
ভিক্ষুক বাবার আয়ে তিন বেলা পেটপুরে খাবার জোটে না প্রতিদিন।
সাদিকুল নিজেও জন্ম থেকেই ভুগছেন চোখের অসুখে। তার চোখের দুটো লেন্স নষ্ট। প্রয়োজনে বদলাতে হয় লেন্স
আর তাতে ব্যয় হয় প্রায় সত্তর হাজার টাকা। ধস্থানীয় ইউনাইটেড ট্রাস্ট আর প্রতিবেশী মির্জা সাজেদুল ইসলাম রাব্বীর সহযোগিতায় কয়েকবার পরিবর্তন করলেও এখন তাও বন্ধ।
বালুয়াটা এম এ রশিদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালের এস এস সি পরীক্ষায় ৪.৩৩ জিপিএ পেয়ে উত্তীর্ণ হন সাদিকুল।
এবার এইচ এস সি পরীক্ষাতেও ভালো রেজাল্টের আশাবাদী।
কিন্তু মাথায় দুঃচিন্তার ভার
পাশ করে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন কি নাকি মাঝ পথেই থেমে যাবে
পড়াশোনা করে মানুষ হওয়ার রথ।
সাদিকুলের স্বপ্ন মানুষের মতো মানুস হওয়ার। কিন্তু বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে দারিদ্র্যতা। পারবে কি দারিদ্র্যের এই নির্মম শিকল ভাঙতে নাকি ঝরে যাবে সাদিকুলের স্বপ্ন
ঠাঁই হবে আস্তাকুঁড়ে। সাদিকুল কে নিয়ে পাড়া প্রতিবেশীরাও বলছিলেন স্বপ্ন জয়ের কথা
তাই সমাজের বিত্তবান শ্রেণীর মানুষের কাছে সাদিকুল চান সহযোগিতা
চালিয়ে যেতে চান পড়াশোনা
হাল ধরতে চান অসহায় আর দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বাবার সংসারের।
তবে সংশ্লিষ্ট মহল এবং বিত্তবানরা এগিয়ে এলে সরে যেতে পারে হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান সাদিকুলের ভবিষ্যতের পথে বাঁধার দেয়াল।
হতে পারে আধার ঘুচিয়ে মানবতার সোনালী ভোর এমন প্রত্যাশা আমাদের
পরিশেষে সাদিকুলের হয়ে আমরা বলতে চাই..
আজকে আমি দুকুল হারা
কদর পাইনা টাকা ছাড়া
হবো যেদিন পয়সাওয়ালা
দারিদ্রতার ভাঙবো তালা।