চ্যানেল ১১ নিউজ (ডেস্ক রিপোর্ট)
শীত শুরু হয়েছে সেই কবেই।
তরকারির স্বাদ বাড়াতে ধনিয়া পাতার ব্যবহার প্রতি ঘরে ঘরে। ভর্তায়ও জায়গা করে নেয় এই সুগন্ধি পাতা। এ তো গেল রসনাবিলাসের কথা। কিন্তু জানেন কি, খাবারে স্বাদ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ধনেপাতার রয়েছে নানান ঔষধি গুণ।
যাতে মানব দেহের অনেক উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে।
শীতের হিমের পরশের সঙ্গে বাজারে উঁকি মারতে শুরু করেছে শীতের অতিথিরা।যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিমের সঙ্গে দোকানীর ঝুড়ি উপচে উঠছে টাটকা ধনিয়া পাতায়।
উপকারিতাঃ
খাদ্যাভ্যাসের কারনে আমাদের শরীরে রোজ তিলে তিলে জমা হতে থাকে বেশ কিছু ভারী ধাতু এবং বিষাক্ত দূষণকারী পদার্থ। এর থেকে শরীরে বহু দূরারোগ্য অসুখ যেমন ক্যান্সার, হৃদরোগ, মস্তিষ্কের বিভ্রাট, মানসিক রোগ, কিডনি ও ফুসফুসের অসুখ এবং হাড়ের দুর্বলতার তৈরি হতে পারে। ধনিয়া পাতা রক্তপ্রবাহ থেকে শুরু করে শরীরের ক্ষতিকর উপাদান দূর করে শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এই ধনিয়া পাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা।
ধনিয়া পাতায় রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, লোহা ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো বেশ কয়েকটি উপকারী খনিজ উপাদান। এছাড়াও ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কে-য়ের জোগান দেয় এই পাতা। শুধু তাই নয়, এই ধনিয়া পাতা তে রয়েছে অ্যান্টিসেপ্টিক, অ্যান্টিফাংগাল উপাদান, সেজন্য ধনিয়া পাতার রস ব্যবহারে শরীরের জ্বলন ও ফোলা ভাব দূর হতে দেখা যায়।
সাবধানতাঃ
ধনিয়া পাতা উপকারী তবে, অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। অতিরিক্ত ধনিয়া পাতা লিভারের কার্যক্ষমতাকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে থাকে । এতে থাকা এক ধরনের উদ্ভিজ তেল শরীরের বিভিন্ন অংশকে আক্রান্ত করে ফেলে। অতিরিক্ত ধনিয়া পাতা নিম্ন রক্তচাপ সৃষ্টি করে।
বেশি পরিমাণে ধনেপাতা খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে হজমক্রিয়ায় সমস্যা তৈরি হয় ফলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে মেয়েদের গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত ধনিয়া পাতা খাওয়ানো হলে ভ্রূণের বা বাচ্চার শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকারক হয়।